সবুজ সুন্দরের গালিচা, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র। চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের মাঝেই ঘুরে বেড়াবেন আপনি, হারিয়ে যাবেন সবুজের রাজ্যে। পর্যটন স্পটটি বান্দরবন শহরের প্রবেশদ্বার বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের পাশেই অবস্থিত। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট এই মেঘলা। সবুজ প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চূঁড়ায় চড়ে দেখতে পাবেন ঢেউ খেলানো বান্দরবানের নয়নাভিরাম দৃশ্য।
বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের পাঁচ কিলোমিটার আগে মেঘলা পর্যটন এলাকাটি অবস্থিত। এটি সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড়বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে। ঘন সবুজ গাছ আর লেকের স্বচ্ছ পানি পর্যটককে প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয় প্রতিনিয়ত। বৈচিত্র্যপিয়াসী মানুষের আত্মিক ক্ষুধাতৃষ্ণা নিবারণের অপূর্ব স্থান মেঘলা।
মেঘলায় চিত্তবিনোদনের বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে রয়েছে চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, সাফারি পার্ক, প্যাডেল বোট, ক্যাবল কার, উন্মুক্ত মঞ্চ ও চা বাগান। এখানে সবুজ প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চূঁড়ায় চড়ে দেখতে পাবেন। ঢেউ খেলানো বান্দরবানের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন হোটেলটি।
খাবার ও রাত্রিযাপন: মেঘলায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের খাবার ও রাত্রিযাপনের জন্য বান্দরবান শহরে মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য খাবার ও রাত্রিযাপনের জন্য মেঘলার পাশেই রয়েছে পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান পর্যটন মোটেল ও হলিডে ইন নামে দুইটি আধুনিক পর্যটন কমপ্লেক্স। এখানে এসি ও নন এসি রুমসহ রাত্রি যাপন ও উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
কিভাবে যাবেন: যে কেউ ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান যেতে পারেন ইউনিক, এস আলমসহ বেশ কয়েকটি বাসে। আর ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর সোজা বান্দরবানে যেতে পারেন। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী ও পূর্বাণী নামক দু’টি ডাইরেক্ট নন-এসি বাস ৩০ মিনিটি পরপর বান্দরবানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিবার্তা/জিয়া