সরকারের পর্যটনবান্ধব নীতিমালার আওতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কক্সবাজারকে নতুন করে পরিচয় করে দেয়ার লক্ষ্যে আগামী নভেম্বরে সেখানে বসছে আন্তর্জাতিক পর্যটন কনফারেন্স।পর্যটনশিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে সম্প্রতি গঠিত ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ও এই কনফারেন্সকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে।
জানা গেছে, প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি অলাভজনক সংস্থা যারা ভ্রমণব্যবস্থা ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য অন্যতম অনুঘটকের কাজ করে। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পাটা এশিয়া ও এর বাইরের ৯৫টি সরকার, পর্যটন বোর্ড, ২৯টি এয়ারলাইনস, এয়ারপোর্ট, ক্রুইজ লাইনস, ৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শত শত ভ্রমণ শিল্পের সাথে জড়িত কোম্পানির সাথে কাজ করছে। পরামর্শ, গবেষণা, ব্যতিক্রমধর্মী কৌশল উদ্ভোধনের মাধ্যমে পর্যটন খাত সম্প্রসারিত সহায়তা দিয়ে থাকে পাটা।
আর সৈকত নগরী কক্সবাজারে আগামী নভেম্বরে তিনদিন ব্যাপী কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাটার নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার্স ফোরাম। এ সম্মেলনে কীভাবে টেকসই পর্যটন ব্রান্ড প্রতিষ্ঠা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনায় বসবেন অভিজ্ঞরা। বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড এ কনফারেন্সের আয়োজন করেছে। এবারের কনফারেন্সের থিম হচ্ছে ‘ডিজাইনিং এ সাসটেইনেবল ট্যুরিজম ব্রান্ড- এন ইনটেগ্রেটিভ অ্যাপ্রোচ টু বিল্ডিং এ রেসপন্সিবল কোস্টাল ডেসটিনেশন।’
পর্যটনশিল্পের সম্প্রসারণে দক্ষ বিপণন ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ কনফারেন্সে আলোচনা করা হবে।
পাটার প্রধান নির্বাহী ডা. মারিও হার্ডি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন সবচেয়ে প্রভাবশালী একটি উপাদান। সবচেয়ে কৌতূহলউদ্দীপক এবং ব্যতিক্রমী জায়গাগুলো যেখানে আদিবাসী সংস্কৃতি সমৃদ্ধ এবং বন্যপ্রাণী ও অন্যান্য নান্দনিক প্রাকৃতিক উপাদানের সৌন্দর্যে ভরা- এমন জায়গার অধিকাংশতেই যাতায়াত সহজ নয়। পাশাপাশি ওই এলাকাগুলোতে দারিদ্র্যের হারও তীব্র। এসব সমস্যা মোকাবিলা করে লুকিয়ে থাকা সম্পদকে বিপনণযোগ্য পর্যটন পণ্যে রূপান্তর করে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় সেটা নিয়েই মূল আলোচনা হবে। পাশাপাশি পর্যটনের সম্প্রসারণ যাতে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে সেদিকে খেয়ালও রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হবে।
শিল্প উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি পাটা টেকনিক্যাল ট্যুর ও ট্যুরিজম মার্কেটিং ট্রেজার হান্টের ব্যবস্থাও রেখেছে। এর মাধ্যমে এ খাতে জড়িত উদ্যেক্তারা পর্যটন খাতকে সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে ব্যবহারিক জ্ঞানলাভেও সক্ষম হবেন। সূত্র: ইনসেন্টিভ ট্রাভেল।
বিবার্তা/ফারিজ/জিয়া