নিজের দেশ হোক, মিশরের পিরামিড হোক অথবা নায়াগ্রার জলপ্রপাত হোক– যেখানেই আপনি ভ্রমণ করুন না কেন, আপনার ভ্রমণ সুন্দর, নির্মল এবং ঝামেলামুক্ত রাখতে হলে আপনাকে আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং নানা তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
১. হোটেলের টিভির ইউএসবি পোর্ট থেকে মোবাইল চার্জ করুন। সচরাচর অনেক হোটেলের টিভির সাইড অংশে ইউএসবি পোর্ট থাকে, যেখান থেকে মোবাইল চার্জ দেয়া সম্ভব এবং একটি ভ্রমণে মোবাইল অন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
২. পাওয়ার অ্যাডাপ্টার সঙ্গে রাখুন। যে কোনো জায়গাতে ব্যবহার করা যায় এমন অ্যাডাপ্টার সাথে রাখুন। এই ধরনের অ্যাডাপ্টার সচরাচর বিমানবন্দরের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়।
৩. ওয়াইফাই কানেকশন থাকলে চলাফেরা-নির্দেশক স্ক্রিনশট রাখুন। আপনি কিভাবে, কোথায় ঘুরছেন সেসবের স্ক্রিনশট রাখা থাকলে আপনি আপনার মূল্যবান ডাটা ব্যবহার না করেই ভ্রমণের খুঁটিনাটি সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
৪. ওয়ালপেপার সিটি গাইড কিনে রাখুন। ওয়ালপেপার সিটি গাইডে খুব যত্ন সহকারে যেকোন শহরের দর্শনীয় স্থান, রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে তথ্য দেয়া থাকে। এই গাইডবুক বহনে আরামদায়ক এবং এটি দেখতেও সুন্দর।
৫. গাইড অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে রাখুন। প্রায় তিন ডলারের বিনিময়ে গাইড অ্যাপ নিতে পারেন, ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়ত গাইড টিপস পাবেন এই অ্যাপ থেকে।
৬. ভ্রমণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটেও চোখ রাখুন। unlike.net নামক সাইটটি থেকে আপনি যেকোন ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য পেতে পারবেন। যেকোন শহর, দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে এই সাইটে সার্চ দিলেই তথ্য পেয়ে যাবেন।
৭. একাধিক শহরে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে এয়ারলাইন্সের টিকেট অগ্রিম বুক করে রাখুন। কায়েক এবং স্কাইস্ক্যানার সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে টিকেটের রেট সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
৮. বড় ব্যাগ অথবা একাধিক ব্যাগ বহন পরিহার করুন। বড় লাগেজ বিমানবন্দরে চেকিং করতে প্রচুর অর্থ খরচ হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য ২০ ডলার খরচ হতে পারে। সুতরাং, অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহন থেকে সাবধান।
৯. ব্যাগ চেকিংয়ের যে খরচ তা অনলাইনে অ্যাডভান্সে পে করলে খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব।
১০. যে দেশে ভ্রমণ করবেন সেদেশের টিপস দেয়া বিষয়ে জ্ঞান রাখুন। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ট্যাক্সি এইসব ক্ষেত্রের টিপস বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়।
১১. ইন্টারন্যাশনাল ডাটা প্ল্যান নিয়ে রাখুন। প্রিপেইড প্ল্যান ব্যতীত ডাটা রোমিং করলে প্রচুর বিল আসার সম্ভাবনা প্রবল। ১০০ মেগাবাইট ডাটা কিনে নিলেই মাঝে মাঝে মেইল চেক এবং অন্যান্য সাইটও অতি সহজেই ঘুরে নিতে পারবেন। ১২০ মেগাবাইট ৩০ ডলার অথবা ৩০০ মেগাবাইট কিনতে পারেন যা আপনার পুরো মাস কভার দিয়ে দিবে।
১২. কত ডাটা ব্যবহার করছেন সেটা খেয়াল রাখুন। ১০০ মেগাবাইট ডাটা হালকা ইউজের জন্য ভালো কিন্তু ভারী ব্যবহারের জন্য নয়। তাই অবশ্যই ভ্রমণের সময় আপনি কত ডাটা ব্যবহার করলেন, কত উদ্ধৃত্ত থাকলো সেটা খেয়াল করুন।
১৩. কে চায় মাসে অতিরিক্ত ২৫ বা ৩০ ডলার অযথা খরচ করতে। সুতরাং বাড়িতে ফিরেই ইন্টারন্যাশনাল ডাটা প্ল্যান বন্ধ করুন তা না হলে আপনার প্রতি মাসে ডাটা প্ল্যান বাবদ অর্থ খরচ হবে।
১৪. যে কোন দেশে ভ্রমণের জন্য লোকাল কারেন্সি লাগে যেটা এয়ারপোর্ট বা হোটেল থেকে নিতে হয়। এই ব্যাপারে নিশ্চিত হোন এবং লোকাল কারেন্সি পেতে যে ফি লাগে সেটা সম্পর্কেও জ্ঞান রাখুন।
১৫. আপনি যে ব্যাংকে লেনদেন করবেন অথবা যে ক্রেডিট কার্ড ইউজ করেন, সেই ব্যাংক অথবা ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে আপনার ভ্রমণ বিষয়ে জানিয়ে রাখুন। ফলশ্রুতিতে তারা সন্দেহপ্রবণ হবে না, এমনকি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করারও সম্ভাবনা থাকবে না।
বিবার্তা/জিয়া