কত দূর ঘুরে, কত দেশ দূরে দেখিতে গিয়াছি পর্বত মালা, দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে দু’পা ফেলিয়া একটি ধানের উপর একটি শিশির বিন্দু।’ কবির এই জীবন্ত উক্তিটিকে আরোও জীবন্ত করে তুলতে দর্শনার্থীদের বরণে প্রস্তুত কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহার। এই উপলক্ষে গত রোজার ঈদেই অবকাঠামো সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করেছে শালবন বিহার কর্তৃপক্ষ। ঈদ উল আজহা উপলক্ষেও নেয়া হয়েছে নানান কর্মসূচি।
ঈদের পরদিনই খোলা হয়েছে ময়নামতি জাদুঘর। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করছে শালবন বিহারের নিজস্ব শৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ সদস্য।
গেল রোজার ঈদে রংতুলির ছোঁয়ায় রঙিন করা হল জাদুঘরের পুরো দেয়াল। জাদুঘরের ভেতরে বসানো হয়েছে বাহারি রঙের টাইলস, নিরাপত্তার জন্য লাগানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও গাড়ি পার্কিং মাঠটি নিরাপদের জন্য সীমানা দেয়াল করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ঈদ উল আজহা উপলক্ষে বাড়েনি কোন রকম টিকেটের দাম। বাংলাদেশি নাগরিকদের ময়নামতি জাদুঘরে ঢুকতে লাগবে ২০ টাকা মূল্যের টিকিট ও শালবন বিহারে ঢুকতে লাগবে ২০ টাকা মূল্যের টিকিট। জাদুঘর ও বিহারে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের ঢুকতে লাগবে ৫ টাকা মূল্যের টিকিট। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য লাগবে ১০০ টাকা মূল্যের টিকিট। অন্য বিদেশি নাগরিকদের জন্য লাগবে ২০০ টাকা করে টিকিট।
ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহ বলেন, গেল রোজার ঈদ উপলক্ষে আমরা সংস্কার করেছি শালবন বিহার আর ময়নামতি জাদুঘরকে। শালবন বিহার ধারাবাহিকভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই শালবন বিহার ও ময়নামতি দর্শনার্থীদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠছে। তাছাড়া গেল রোজার ঈদে শালবন বিহারের অবকাঠামো সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সাথে সাথে ময়নামতি জাদুঘরকেও নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।
তিনি আশা ব্যক্ত করে আরো বলেন, শালবন বিহার কর্তৃপক্ষ সরকারের রাজস্বখাতে ২০১৩ সালে জমা দিয়েছে ৫৭ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ৬৭ লাখ টাকা ও ২০১৫ সালে দিয়েছে ৯৫ লাখ টাকা। আশা করছি এ ঈদে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।
জিয়া/বিল্লাল/জিয়া