ইউরোপ ভ্রমণে যাবেন? প্যারিস, লন্ডন, রোম যে কোন ভ্রমণকারীর সারা জীবনের স্বপ্ন ইউরোপের স্বাদ গ্রহণ। প্রতিটি দেশ যেন ভিন্ন ভিন্ন স্বর্গ। কোথাও খুলেছে দর্শনের স্কুল, কোথাও আছে আজব সব জাদুঘর, কোথাও গেলে জানা যায় সভ্যতার আদ্যোপান্ত, কোথাও বাস করে মিথলজির সবগুলো চরিত্র। বিচিত্র এই মহাদেশ ভ্রমণের আগ্রহ একেক ভ্রমণকারীর কাছে একেক রকম। কিন্তু আপনি যদি হন ব্যাকপ্যাকার, শুধু আগ্রহ নয় ভাবতে হবে বাজেটের কথাও। আপনাদের জন্য রইল কিছু টিপস:
টিকিট কেটে ফেলুন আগেভাগে: প্লেনের টিকেট অগ্রিম কাটার বেশ কিছু সুবিধার মধ্যে একটি, এতে আপনার খরচ কমবে। যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন প্লেনে তারা ভালোই জানেন ব্যাপারটি। মাত্র ২/৩ মাস আগে টিকেট কাটার দুর্দান্ত সুবিধা পাবেন আপনি। আগে থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে গেলে আপনি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাবেন। এই সুযোগ কেন নেবেন না? অনেকদিন ধরেই নিশ্চয়ই প্ল্যান করছেন। বন্ধুরা মিলে টিকিট করে রাখুন না!
হোটেলে নয়, হোস্টেলে থাকুন: ইউরোপের বেশিরভাগ হোস্টেল পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ। হোটেলে থাকা নিঃসন্দেহে ব্যাপক ব্যয়সাধ্য। তাই হোস্টেল বেছে নিন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি এই সংক্রান্ত তথ্য পাবেন। যেমন কেমন রুম, রুমে কি কি সুবিধা আছে, ভাড়া কত সব জানতে পারবেন। ডুম স্টাইলের রুমগুলো সবচেয়ে সস্তা হয়, কারণ সেখানে আপনাকে অপরিচিতদের সাথে রুম শেয়ার করতে হবে। নিরাপত্তার কোন চিন্তা নেই। সানন্দে উঠে যেতে পারেন। দেশ দেখার সাথে সাথে নতুন বন্ধুও পাবেন। ভ্রমণে পাওয়া বন্ধুরা কিন্তু মাটি খুঁড়ে পাওয়া রত্নের মতই দামি।
সোল্ডার সিজনে যান: ইউরোপে সাধারণত বসন্ত বা শরত হল সোল্ডার সিজন। এই সময় একেবারে শীত পড়ে যায় না। রোদ থাকে। আবার ট্যুরিস্ট কম থাকায় সব কিছুর খরচ কমে যায়। নিজের মত ঘুরে বেড়াতে পারবেন, গাড়ি ভাড়া নিয়ে চলে যেতেন পারবেন লং ড্রাইভে। পিক সিজনের তুলনায় কত যে সাশ্রয়ী হবে আপনার ভ্রমণ আপনি ভাবতেও পারবেন না। জ্বী, খাবারও পাবেন সস্তা। শপিং করতে পারবেন কম খরচে।
ফ্রি মিউজিয়াম ডে: প্রতিটি মিউজিয়ামের একটি দিন থাকে যেদিন আপনি বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। ভাল অংকের টাকা বেঁচে যাবে আপনার। কষ্ট করে ইন্টারনেটে শুধু চেক করে নিন কবে মিউজিয়ামটি বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে। সপ্তাহের সেই দিনটিতে চলে যান। ব্যাস।
বাসেবাউট: এটি ব্যাকপ্যাকারদের জন্য খুবই জনপ্রিয় যাতায়াত সেবা। বাসেবাউট এর রুট আছে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে। আর এদের বেশিরভাগ পাসই আপনাকে যেখানে ইচ্ছা নামার এবং ওঠার সুবিধা দেবে। এই বাসের ৩৩ টিরও বেশি জনপ্রিয় ভ্রমণস্থানে স্টপেজ আছে। আরেকটি মজার সুবিধা হল, একই মানুষের সাথে বার বার দেখা হবে বাসে আপনার, ফলে বন্ধুও পেয়ে যাবেন।
বিবার্তা/জিয়া