রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘মমতাবিহীন কালস্রোতে/ বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে/ নির্বাসিতা তুমি/ সুন্দরী শ্রীভূমি’। পাহাড়-টিলা ঘেরা অপরূপ এই সিলেট সফরকালেই এ অঞ্চলের সৌন্দের্যে মুগ্ধ কবি সিলেটকে সুন্দরী শ্রীভূমি আখ্যা দিয়েছিলেন।
দুটিপাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেটের যতগুলো দর্শনীয়স্থান আছে তার মধ্যে তামাবিল অন্যতম। চারপাশে সবুজ পাহাড় আর তার মাঝে স্বচ্ছ পানির লেক আপনাকে দিবে অন্যরকম এক ভালোলাগার অনুভুতি।
তামাবিল স্থলবন্দরটি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। সিলেট জেলা সদর হতে সড়ক পথে দূরত্ব মাত্র ৫৬ কি.মি। জাফলং জিরো পয়েন্ট নামেও পরিচিত।
সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখান থেকে সরাসরি ভারতের পাহাড় পর্বত, ঝরনা, আর জলপ্রপাত দেখা যায়। সীমান্তের ওপারে অনেকগুলো জলপ্রপাত রয়েছে এগুলো বিকেল বেলা ও গোধূলীর সময় দেখতে চমৎকার লাগে। নয়নাভিরাম এসব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শণার্থী ভীড় জমায় তামাবিল সীমান্তে। ভারত থেকে বাংলাদেশে কয়লা আসে এই স্থলবন্দর দিয়ে। তামাবিলের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্য।
ঢাকা থেকে তামাবিল যেতে হলে বাস ও ট্রেন দু’ভাবেই ভ্রমণ করা যায়। তবে বাসের চেয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করা বেশ আরামদায়ক। ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর রেল ষ্ট্রেশন গিয়ে কামরা ভাড়া করে গেলে আরামে যাওয়া যায়। বাসে গেলে গ্রীনল্যান্ড ও সোহাগ পরিবহনে সিলেটে ভ্রমণ করা যায়।
থাকার জন্য সিলেট শহরের মাজার রোডের একদম মাথায় আম্বর খান মোড়ে থাকার জন্য একটা হোটেল রয়েছে। ২ বেডরুম (৪ বেড) এর জন্য ৭০০ টাকা ভাড়া। নিচেই খাবার দোকান। দোকানের গ্রিল চিকেন এর স্বাদ ভালো। এছাড়া খাওয়ার জন্য কাছেই জিন্দাবাজারে অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্টেও খাবার দাম এবং স্বাদ দুটোই ভালো।
শরীরে ক্লান্তির ছোঁয়া থাকলেও একরাশ ভালোলাগার স্মৃতি হয়ে হৃদয়ের মনিকোঁঠায় থাকবে তামাবিল ভ্রমণ। তাই আসুন, বেড়িয়ে যান সিলেটের তামাবিল থেকে। দেখুন নিজেকে। দেখুন বাংলাদেশকে।
বিবার্তা/জিয়া