আজ থেকে ১৪৪১ চন্দ্রবছরেরও আগে ১৪ জিলহজ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র মোজেযার প্রকাশ হিসেবে তাঁর আঙ্গুলের ইশারায় পূর্ণ চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।
আবু জেহেলের নেতৃত্বে একদল মূর্তিপূজারী ও ইহুদি জানায় যে, মুহাম্মাদ (সা.) যে আল্লাহর রাসূল তা তারা মেনে নেবে, যদি তিনি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখাতে পারেন। তখন রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে মোনাজাত করে আঙ্গুলের ইশারা করলে ওই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটে।
ওই আরব মুশরিকরা এই মোজেজা অস্বীকার করে একে যাদু বলে অভিহিত করে। কিন্তু উপস্থিত ইহুদিরা চাঁদ দুই ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। কারণ, ওই ইহুদিরা তাওরাতে পড়েছিল যে হযরত মূসার (আ.) উত্তরসূরী হযরত ইউশার (আ.) জন্য মহান আল্লাহ চাঁদ ও সূর্যকে স্থির করে রেখেছিলেন।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত মালাবার রাজ্যের (বর্তমান কেরালা অঞ্চল) তৎকালীন রাজা চক্রবর্তী ফারমাস (চেরামান পিরুমেল) আকাশে চাঁদ দুই টুকরো হয়ে যাওয়ার ওই অলৌকিক ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখেছিলেন। যখন তিনি জানতে পারেন যে, আরব দেশে শেষ নবীর আবির্ভাব ঘটেছে এবং রাসুলই (সা.) চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছেন, তখন তিনি মক্কায় গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ভারতের ইতিহাস গ্রন্থ ‘তারিখ-ই-ফেরেশতা’য় ওই ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে। চেরামানের নামে ভারতের কেরালা রাজ্যে একটি মসজিদও রয়েছে।
ভারতীয় রাজা যে ওই ঘটনা দেখেছিলেন, তার লিখিত বিবরণের একটি প্রাচীন দলিল বর্তমানে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ওই দলিলে ভারতীয় সেই রাজার ভ্রমণের বিস্তারিত বর্ণনা আছে। ওই রাজা ভারতে ফেরার পথে ইয়েমেনে মারা যান। সূত্র : রেডিও তেহরান
বিবার্তা/হুমায়ুন