বাংলাদেশে এবার ২৯ হাজার ৩৯৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ৩২৪টি। গত বছর ২৯ হাজার ৭১টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বর্ধিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
মণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই চেতনা বিকাশের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের মূলধারা আরো শক্তিশালী হবে।’
সারাদেশে উৎসবের আঙ্গিকে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, অসাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি বিনষ্ট ও ধর্ম নিরপেক্ষ ধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে দেশের যে ষড়যন্ত্র চলছে, প্রতিমা ভাঙচুর ও সাম্প্রদায়িক হামলা তারই অংশ।
সভায় শারদীয় দুর্গাপূজায় তিনদিনের সরকারি ছুটি, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পূজার সময় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় উৎসবের আঙ্গিকে আলোকসজ্জা ও সড়ক সজ্জার দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার এমপি। বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল আইজিপি কৃষ্ণপদ রায়, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, পংকজ নাথ এমপি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা, ডি এন চ্যাটার্জি, অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার রায়, ট্রাস্টি সুব্রত পাল প্রমুখ।
জেলা নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সুভাষ সাহা, অধ্যক্ষ সুর্য্য কান্ত দাস, কৃষ্ণপদ দাস, শংকর সাহা, ধীরেন্দ্রনাথ সরকার, অ্যাডভোকেট রমেন্দ্র নাথ বাপ্পী, রঞ্জিত দাস, তরুণ কর্মকার প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা এলাকার পরিস্থিতি পূজার প্রস্তুতি এবং নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সরকার পূজার আয়োজনে সর্বাত্মক সহায়তা করছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বিবার্তা/আছিয়া/নিশি