বুঝ হবার পর থেকে আমার মায়ের ওপড় অত্যাচার দেখে পুরুষের প্রতি একটা ঘৃনা জন্মেছিল। বিয়ে করবো না বলে পণ করেছিলাম। কিন্তু বাবা মা জোর করে বিয়ে দিয়েছিল। বিয়ের পর দিন থেকে ৭ টা বছর আমাকে শুধু কাঁদিয়েছে।
সুখের স্মৃতি বলতে আমার মেয়ের জন্ম। আমার টাকা সব এই লোকটার পিছে খরচ করেছি, যে শুধু নিতে জানে। নিজে সোনার চেইন আর ব্রেস্লেট পড়তো আর বউকে মাসে শুধু ২হাজার টাকা হাত খরচ। যদিও জবটা আমাদের দেওয়া। ঘর জামাই থাকতো। ১৫হাজার টাকা বেতন পেতো। সব টাকা নিজের পিছনে খরচ করতো। আমার জমানো টাকা দিয়ে জিনিস কিনে এনে বাসায় বলতাম ও কিনে দিছে।
তারপরও আমি খারাপ। মানলাম আমি খারাপ। আজ ৯ বছর হলো একটা দিনের জন্য মেয়ের খবর নেয় নাই। বউ পরের মেয়ে না হয় খারাপ, নিজের রক্ত কি করে খারাপ হয়। মেয়েরা নাকি বাবার চোখের তাড়া হয়। আমার মেয়ের বাবা থাকতেও বাবার আদর পায় নাই। আমার মেয়ে তার বাবার ছবি নিজের হাতে ছিড়ে ফেলেছে।
আমি আসলেই খারাপ। বাচ্চা হওয়ার সময় আমি সব খরচ দিয়েছি। বাবা র কাছ থেকেও ভালোবাসা পাই নাই।স্বামীর কাছ থেকেও না। আসলেই আমি খারাপ। এতো কিছুর পর বিজনেজ করার জন্য ৫ লাখ টাকা দিলাম। সেটা নিয়ে মেয়েকে ফেলে ভাগলো। তারপরও আমিই খারাপ কারণ আমি তাকে ডিভোর্স দিছি।
আমার সাইনবোর্ড দরকার নাই। স্বামী যদি তার কর্তব্য পালন করতে না পারে, বউয়ের সাথে ২হাজার টাকার কন্টাক্ট এ স্বংসার হয়, সেরকম স্বামীর দরকার কি? মানুষতো পতিতাদের সাথেও রাত কাটালে ২হাজার টাকার বেশী দেয়। তারপরও আমি খারাপ। যে লোক বিয়ের পরের দিন বউ রেখে চলে যায় ৬ মাস পর আসে। তারপরও ৭ টা বছর নষ্ট করি। আসলেই আমি খারাপ। আমি আমার মেয়ের লাইফটা নষ্ট করেছি। ভেবেছি বাচ্চা হলে ভালো হবে। আমিই খারাপ। আমার মতো মেয়েকে কেও পছন্দ করে না।
আমজনতা৭১ এর ব্লগ থেকে…
বিবার্তা/এমহোসেন