>আহাহ শ্বশুরবাড়ি জামাই এলে কি আদর... মুরগি জবাই করো, খাসির মাথা আনো,
মাছের মাথা দাও... গরুর ঠ্যাং আনো...! জামাই কি খাবে, কি পছন্দ করে, কি খায় না, শাশুড়ীরা তার সব মুখস্ত রাখে! জামাই এলেই শুরু হয় আয়োজন! এই শীতের সময়- জামাই এর জন্য আলাদা ভাবে পিঠাপুলির আয়োজন হয়! শাশুড়ি অসুস্থ থাকলেও , বাসায় সমস্যা থাকলেও... সব কিছু ফেলে শাশুড়ীমা জামাই আদরের আপ্যায়নে নেমে যান...
>অথচ এর বিপরীত চিত্র নেই বললেই চলে!! রেয়ার দু/একটা কেস মানে হাতে গোনা হয়তবা ১% মেয়ের ভাগ্যে বউআদর জুটে! শ্বশুরবাড়িতে কয়টা মেয়ের পছন্দের দিকে খেয়াল রাখা হয়? কয়জন শাশুড়ী বউ এর পছন্দের খাবার রান্না করেন, কিংবা কয়টা মেয়ের ভাগ্যে এমন শ্বশুরবাড়ী জুটে যেখানে কোন একদিন তার পছন্দের মেনুতে রান্না হয়!
>জামাই এর একটু অনাদর হলেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে তুলকালাম হয় মেয়েটাকে যাচ্ছেতাই অপমান করা হয়, কত কথা শুনতে হয়! অথচ বউ এর অনাদর হলে, মেয়ের বাপের বাড়ীর লোকজন চুপ মেরে যায়... ভয়ে কিছু বলতে পারে না... যদি মেয়ের আরো কোন অসুবিধা হয়!
>আজিব হলেও সত্যি যে- জামাই এর শাশুড়ী হিসেবে মেয়েরা পারফেক্ট হয় ৯৯%
কিন্তু বউ এর শাশুড়ী হিসেবে এই মেয়েরাই পারফেক্ট হয় না ৯৯%...!!
সত্যি মেয়ে তোমরা আজিব-ই বটে!!!!
ইস্পিতা চৌধুরীর ব্লগ থেকে