"রমিজ রাজা ওরফে কান ঢাকা রমিজ" যে বাংলাদেশ বিদ্বেষী তা কারো অজানা নয়। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সুপার লিগ- পিএসএল এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের সাথে অশোভন আচরণ করে আবারো সমালোচনায় এসেছেন কান ঢাকা রমিজ হিসেবে খ্যাত এই রমিজ রাজা। এক জীবনে তার মুখ থেকে নির্গত হওয়া বেশিরভাগ বিতর্কিত মন্তব্যই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের খেলোয়ার সম্পর্কিত।
কিন্তু কেনো ! কিসের এতো রাগ ! কি জন্যেই বা রমিজ কট্টরপন্থি বাংলাদেশ বিদ্বেষী। জানতে হলে আমাদের চোখ বুলাতে হবে ইতিহাসের পাতায়, ফিরে যেতে হবে আজ থেকে ৪৫ বছর আগে......
রমিজ রাজার পরিবারের এক গল্প এ দেশের প্রায় কারোরই জানা নেই। তাদের ছিলো একান্নবর্তী পরিবার। ১৯৭১ সালে তার ছোট চাচা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন হিসাবে আমাদের এখানে নিধন ও নারী নির্যাতনে ব্যস্ত ছিল। আগস্টের প্রথম দিকে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে এক মুখোমুখি যুদ্ধে হেরে গিয়ে দল নিয়ে পালাচ্ছিল রমিজের চাচা। পথে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়, রমিজের চাচা এক সহচরসহ গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে। গ্রামবাসী তাদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। রমিজের চাচা প্রাণভিক্ষা চায়।
গ্রামবাসী তাদের ছেড়ে দেয় বটে, তবে কাপড়জামা পুরো খুলে রাখে। রমিজের চাচাকে উদোম হয়ে তিন মাইল পথ পারি দিয়ে ক্যাম্পে ফিরতে হয়। এরপর সে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। তাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। চাকরিও আর থাকে না। এই ঘটনা রমিজের চাচার পক্ষে ভোলা সম্ভব হয়নি। ভোলেনি তাদের একান্নবর্তী পরিবারের কেউই। রমিজ তার খেলা শেষ করে এখন ধারাভাষ্যকার।
রমিজের চাচার ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের খেলা আর রমিজ সে খেলায় ধারাভাষ্যকার থাকলেই তার চাচা আকুলিবিকুলি করে বলে, বেটা, ধুয়ে দিবি কিন্তু ওদের। যতই যা খেলুক, ছোড় না মাত। রমিজ চাচার দুর্দশা, পরিবারের লজ্জা কিছুই ভোলেনি, সে বলে, আপ কেয়া বোলে চাচা ! আপকো কাপড়া উতার দিয়া, উসলোককো কাভি নাহি ছোড়ে গা।’
(বিঃদ্রঃ- পোস্টের দ্বিতীয় অংশটি লেখক মঈনুল আহসান সাবের'র ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগ্রহ করেছেন ব্লগার নাকি বাপ্পী )
নাকিব বাপ্পীর ব্লগ থেকে
বিবার্তা/মহসিন