হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলেই বোঝা যায় জীবনের মূল্য কতটা। এখানে কেউ বের হয় লাশ হয়ে, আবার কেউ বের হয় কোকাতে কোকাতে, কেউ বের হয় তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে। খুব কাছ থেকে মৃত্যু দেখা যায় এই জরুরি বিভাগে। যেখানে মৃত ব্যক্তির স্বজনের আহাজারি শোনা যায়। গভীর রাতে শেয়ালের ডাক যেমন মনকে নাড়িয়ে দেয়, তেমনি এই কান্না মনকে নাড়িয়ে দেয়।
আজকে রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া মোটরসাইকেল আরোহী কালকেও এইরকম যেতে পারবে নাকি তার কোনো গ্যারান্টি নেই। আনন্দের সাথে ছুটে যাওয়া বাইকচালক কালকে যে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাবে না, তার গ্যারান্টি কী? আমার ছোটবোন প্রায়ই বলে ‘ভাই, তুই বাইক চালাস না। চালালেও ভালোমত চালাস। বন্ধুর সাথে বাইকে ঘুরিস না। রাস্তা দিয়ে ঠিকমত চলাফেরা করিস।’ আমার ছোট বোন হাসপাতালে প্রায়'ই হয়তো স্বজন হারানোর কান্না শুনতে পায়। শুনতে পায় মৃত্যুর আহাজারি। তাই বার বার তার মনও কেঁদে ওঠে।
উশৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করে জীবন চালালেই খুব ভালো থাকা যায় না। আজকে আপনি ভালো থাকলেও কালকে আপনি ভালো নাও থাকতে পারেন। জীবনটা তুচ্ছ হলেও এর মূল্য অনেক। জীবন থাকতে মূল্য না বুঝলেও, হারালে ঠিকই বোঝা যায়। জীবনতো একটাই, তাই সহজেই তাকে তুচ্ছ করে হারিয়ে দিতে নেই।
জুবায়ের হাসান রাব্বীর ব্লগ থেকে...
বিবার্তা/এমহোসেন