মেয়ে তো সবার ঘরেই আছে, সেই আদরের মেয়ে যদি এরকম নির্মমতার শিকার হয়, তাহলে মা-বাবা, ভাইবোন হিসেবে আপনাদের কেমন লাগবে? আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু বিচার নেই। সবলের জন্য বিচার, আর দুর্বলের জন্য অবিচার! তবে এই ঘটনার বিচার না হলে, আমাদের মেয়েদের অবস্থা আরও করুণ হবে!
এ ধরনের ঘটনা ঘটে, আমরা কিছুদিন আহা, উহু করি, তারপর সব ভুলে যাই, নতুন কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনা আমাদের মনোযোগ কেড়ে নেয়। এই দেশে সোহাগী হত্যার বিচার হবে না, এটাই নিয়তি।
সামাজিক অবক্ষয়, সরকারের অকার্যকারিতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অসততা দেশকে এ পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছে। একজন সোহাগী না, এভাবে চলতে থাকলে হাজারটা সোহাগীর দেশে পরিণত হতে আর বাকি নেই। প্রতিটি এলাকাতে রাজনৈতিক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় উঠতি বয়সী ছেলেরা অপরাধ করে চলেছে।
এরা পড়ালেখা, কাজকর্ম কিছুতে নেই। ছিঁচকে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যে কয়টা ঘটনা পত্রিকায় আসে, সেগুলো নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ দুঃখ প্রকাশ করি আর বাকিগুলো আড়ালেই থেকে যায়। ঘটনার মূলে কি কেউ হাত দেবেন?
প্রত্যেক ধর্ষকই কোনো না কোনো পরিবারের সদস্য। ধর্ষককে ভাই বা সন্তান হিসেবে না দেখে ধর্ষক হিসেবে দেখুন। তাকে আইনের হাতে তুলে দিন। বিচারের ব্যাপারে সহায়তা করুন। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই নৈতিকতা শিক্ষা দিন। তাহলে হয়তো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আর ধর্ষণের প্রতিবাদ করতে হবে না।
আদনান সাইদির ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/এমএম/হোসেন