কিছুদিন ধরে খুব অদ্ভুত একটা স্বপ্ন দেখছি। প্রথম প্রথম ঘুমের মধ্যেই শুধু দেখতাম। কিন্তু এখন জেগে জেগেও দেখা শুরু করেছি। স্বপ্নটা অনেকটা আদার ব্যপারী হয়ে জাহাজের খবর নেয়ার মতো।
মধ্যবিত্ত্বদের কিছু কিছু আকাঙ্খা কিংবা ইচ্ছা শুধু স্বপ্নতেই থেকে যায়। যেমন আমি কুড়ে ঘরে বসে স্বপন দেখি- আমার ৩ রুমের একটা সুন্দর ছিমছাম বাসা হবে।
অন্য রুমগুলোর মধ্যে আমার নিজের একটা ঝকঝকে সুন্দর স্টাডি রুম। মোটামুটি আকারের রুমটার একদিকে একটি বড় আকারের জানালা আর অন্য দিকে বারান্দা। বারান্দায় জীবিত কিছু ফুলগাছ, টবে লাগানো।
রুমের ভেতর ফার্নিচার বলতে একপাশের পুরো ওয়াল জুড়ে একটি বুকসেলফ। পুরো তাক ভর্তি বই।
সেলফের পাশেই স্বচ্ছ কাচেঁর তৈরী মাঝারি আকারের একটি টেবিল। টেবিলের এক পাশে ছোট্ট একটি ল্যাপটপ, একটি হালকা আকাশি আলো বিচ্ছুরিত টেবিল ল্যাম্প, আর এর পাশে আধ খোলা একটি বই "হিরোডোটাস ইতিবৃত্ত"।
টেবিলের পাশেই বেতের তৈরী একটি ছোট্ট গোলাকার টুল, উপরে ফোমের কভার।
ওয়ালের পাশে ঘেষে একটি মেট্রেসের বিছানা। তাতে সুন্দর জোছনা রাতের ছাপ দেয়া চাদর। গোছানো দুটি বালিশ থাকবে এক পাশে।
জোছনার কিছু ছোঁয়া থাকবে জানালায় দেয়া পর্দায়ও।
--------------
"আব্বু, ও আব্বু। দেখো আমার পাজামাটার অবস্থা। এটা পড়ে আর স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়।"
ছেলেটার কান্না জড়িত ডাকে আমি স্বপ্ন থেকে বাস্তবে ফিরে আসি। সামনে তাকিয়ে দেখি কখন যেনো ছোট ছেলেটি আমার সামনে এসে দাড়িয়েছে। তার ছেড়া পাজামাটা দেখিয়ে বলছে- "কবে থেকে বলছি তোমাকে যে এ পাজামা পড়ে আমার স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়, দেখ আজ একেবারে ছিড়ে ঝুলে গেছে"।
সত্যি সত্যিই ছেলের ঝুলে যাওয়া ট্রাউজারটি দেখি।
--------------
জানি স্বপ্নতো স্বপ্নই। কিন্তু আমার এ বিশাল স্বপ্ন কারো কারো জন্য নিতান্তই তুচ্ছ বিলাসিতা মাত্র। প্রদীপে ঘষা দিয়ে শুধু নির্দেশ দেয়া- "হয়ে যা"। এর পরপরই হয়ে যায়।
আমার হয় না। হয়তো হবেও না কোনো দিন। কিন্তু তারপরও কোনো এক লোভী আকর্ষণে বার বার আমি স্বপ্ন স্রোতে নিজেকে ভাসাই।
প্রীতমের ব্লগ থেকে...
বিবার্তা/মহসিন