আমাদের সকলেরই চলার পথে সামনে কোনো না কোনো লক্ষ্য থাকে আর সে লক্ষ্যগুলো একেক জনের একেক ধরনের হয়। ব্যতিক্রমী যে বিষয়গুলো আমাদের জীবনে সফলতা আনতে পারে।আমাদের সকলেরই জীবনে সফল হওয়ার লক্ষ্যে এমন কিছু বিষয় আছে যা আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে, আর সেটা আমরা অনেকে কল্পনাও করতে পারি না । তেমন কিছু বিষয় তুলে ধরলাম এই লেখায়। আর এ বিষয়টির আরো বিস্তারিত কিছু জানিয়েছেন বিজনেস ইনসাইডার।
১ । জন্মতারিখঃ
অনেকেই দাবি করেন জন্ম মাস তার সফলতার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে হিলারি ক্লিনটনের কথা ধরা যায় যার জন্মমাস হলো অক্টোবর মাসে।
২। সন্তান ক্রমঃ
আপনি আমি পরিবারের কত নম্বর সন্তান এটিও অনেক সময় সফলতার নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে গবেষকরা জানিয়েছেন প্রথম সন্তান সাধারণত উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং তুলনামূলকভাবে বিভিন্ন কাজে দক্ষ হয়।
৩। পাবলিক এবং প্রাইভেট স্কুলঃ
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে ব্যয়বহুল স্কুল থেকে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা জীবনে বেশি সফলতা পায়। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে অনেক।
৪। হাইস্কুলে অংকের নম্বরঃ
শিক্ষার ক্ষেত্রে অংক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাইস্কুলে আপনার পাওয়া অংকের নম্বর দেখেই ভবিষ্যতে আপনার সাফল্য অনেকাংশে নির্ণয় করা যায় বা যোগ বিয়োগ মিলিয়ে নেয়া যায়। বিভিন্ন গবেষণায় আরো দেখা গেছে পড়া লেখার জীবনে হাইস্কুলে যারা অংকে ভালো নম্বর পান তারা ভবিষ্যতে কর্ম জীবনেও ভালো বেতন পান।
৫। ছোটবেলায় খেলাধুলাঃ
খেলাধুলা দেহ এবং মনের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । বিশেষ ভাবে দেখা গেছে যেসব শিশু খেলাধুলা করার জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করে ভবিষ্যৎ জীবনে তারা বেশিমাত্রায় সফলতা পায়।
৬। সামরিক প্রশিক্ষণঃ
যারা বিভিন্ন সামরিক বাহিনীতে কাজ করেন কিংবা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাদের মাঝে পরবর্তীতে নেতৃত্বে দক্ষ হয়ে ওঠেন।
৭। ভালো ঘুমের অভ্যাসঃ
ভালো ঘুমের সঙ্গে মস্তিষ্কের সুস্থতা জড়িত। আপনি আমি আমরা যদি ভালোভাবে ঘুমানোর অভ্যাস করি তাহলে আমাদের শিক্ষায় উন্নতি হবে এমনটাই দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
৮। তাড়াতাড়ি কর্মস্থলে যাওয়ার অভ্যাসঃ
যাদের কর্মস্থলে তাড়াতাড়ি যাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের উন্নতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। মূলত তাড়াতাড়ি কর্মস্থলে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৯।আকর্ষণীয় ও লম্বা ব্যক্তিঃ
আকর্ষণীয় এবং লম্বা ব্যক্তিরা পেশাগত জীবনেও সহজে সাফল্য লাভ করেন। বিভিন্ন গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
১০। ভালো রসবোধঃ
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল মানুষের মাঝে ভালো রসবোধ দেখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে সুখী কর্মীরা ৩১ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বেশি প্রদর্শনে সক্ষম হন যা তাদের সাফল্য বৃদ্ধি করে।
১১। উপযুক্ত পোশাকঃ
বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই উপযুক্ত পোশাক পরার অভ্যাস মানুষকে সফল হতে সহায়তা করে।সাম্প্রতিক সময়ে গবেষকরা জানিয়েছেন আপনার আশপাশে থাকা মানুষ আপনার পোশাক দেখে আপনাকে বিচার করতে পারে।
১২। বিবাহিত হলেঃ
পুরুষদের ক্ষেত্রে বিবাহিত হলে তা সাধারণত বেতন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। অবশ্য নারীদের এটি বেতন বৃদ্ধি নয় বরং কমানোর সম্ভাবনা তৈরি করে।
১৩।স্বাধীনচেতাঃ
তরুণ বয়সে স্বাধীনচেতা কিংবা দুরন্ত স্বভাব যাদের তারা পরবর্তী জীবনে সফল হন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে এ ধরনের তরুণদের অনেকেই পরবর্তীতে উচ্চ বেতনে কাজ করেন।
১৪। বিশ্বাসী চেহারাঃ
অনেকের চেহারাতেই একটি বিশ্বাসী ভাব থাকে। যাদের চেহারা এ ধরনের বিশ্বাসী ছাপ থাকে তাদের পরবর্তীতে অন্যের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন ও সফল হতে দেখা যায়।
১৫। গভীর কণ্ঠস্বরঃ
যাদের কণ্ঠস্বর অন্যদের তুলনায় গভীর তাদের নেতৃত্বের গুণ অন্যদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। এতে তারা সহজে সফলতাও পান।
১৬। মানসিক চাপমুক্তঃ
যারা ক্রমাগত মানসিক চাপের মাঝে থাকেন তারা ভালো নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন না। একইভাবে সফল মানুষ হওয়ার জন্যও মানসিক চাপ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে।
১৭। স্মার্ট শিশুঃ
যে শিশুরা অন্যদের তুলনায় নিজেকে স্মার্ট হিসেবে নিজেকে পরিচিত করাতে সক্ষম হয় তারা পরবর্তী জীবনে সহজেই সফলতা পায়। বিভিন্ন গবেষণাতেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
কথাকর্তার ব্লগ থেকে
বিবার্তা/মহসিন