গল্পটা অনেকদিন আগেই শুনেছিলাম, মজার গল্প, বেশ ভাল লেগেছিল। তবে আজ কেন জানি খুব বেশি ভাল লাগছে। হয়ত জীবনের সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছি। তাই এক বন্ধুর পোস্ট থেকে সরাসরি কপি-পেস্ট করে দিলাম যদি আরো কারো ভাল লাগে তাই। রম্য গল্প হলেও জীবনের সাথে এর এতো মিল........
গাধাকে সৃষ্টি করার পরে সৃষ্টিকর্তা বললেন: ‘তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি। তোর মাথায় কোনো বুদ্ধিও থাকবে না। তোকে আয়ু দিলাম ৫০ বছর।’
গাধা: সে কি! এত কষ্ট করে আমি এত দীর্ঘদিন বাঁচতে চাই না। প্লিজ, আমার আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করে দিন।
সৃষ্টিকর্তা: যাহ, তাই দিলাম।
কুকুরকে বললেন: ‘তুই হবি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, কিন্তু মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকবি। তোর আয়ু হবে ৩০ বছর।’
শুনে, কুকুর ঈশ্বরকে বলল: দয়া করে একটু শর্ট করে ওইটা ১৫ করান। এতদিন বাঁচতে চাই না।
ঈশ্বর এইবারও রাজি হয়ে গেলেন।
এরপর উনি বানরকে বললেন: ‘হে বানর, তোর একমাত্র কাজ হবে লাফিয়ে লাফিয়ে এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়া, আর তামশা দেখিয়ে মানুষকে বিনোদন দেওয়া। তোর আয়ু দিলাম ২০ বছর।’
সে আবেগে কেঁদে ঈশ্বরকে বলল: দিবেনই যখন ১০ বছর দেন, আমি এত বড় জীবন দিয়ে কি করব?
ঈশ্বর এইবার পুরুষকে বলল: ‘তুমি হবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ।তোমার আয়ুও হবে ২০ বছর।’
সে তো খুশিতে পাগল হয়ে গেল, কিন্তু এত মহৎ জীবন নিয়ে মাত্র ২০ বছর??
সে করজোড়ে প্রভুকে বলল: একটা কাজ করা যায় না?
আপনি আমাকে গাধার ফেরত দেওয়া ৩০ বছর, কুকুরের ১৫ বছর, বানরের ১০ বছর দিয়ে দেন।
ঈশ্বর বললেন: নিজের ভালো পাগলেও বোঝে, তুই বুঝলি না। যাহ, দিলাম।
সেই থেকে ছেলেরা পুরুষ মানুষ হিসেবে বাঁচে ২০ বছর, পরের ৩০ বছর গাধার মত সংসারের বোঝা টানে, তার পরের ১৫ বছর ছেলে মেয়ে যা দেয় তাই খেয়ে পরে বেঁচে থাকে কুকুরের মতো, আর তার পরের দশ বছর বানরের মত, কখনো এক সন্তানের বাসা তো কখনো আরেক সন্তানের বাসায় ঘোরে আর নাতি নাতনিদের বিনোদন দেওয়াই হয় তাদের প্রধান দায়িত্ব।
হাসান জাকির ৭১৭১ এর ব্লগ থেকে
বিবার্তা/জিয়া