ব্লগের ভার্চুয়াল লাইফ কবিতার মতো, চলে নিরবধি। হরেক কায়দায় আমরা এখানে মনের ভাবনা উগড়ে দিই। কেউ চটজলদি, মর্জিমাফিক, কম্পিত হাতে, সভয়ে, সাবধানে এবং কেউবা ভেড়াকান্ত স্টাইলে।
কেউবা লিখেন আগে পাছে, কেউবা ভীষণ আস্তে, ধীরগতিতে। কেউবা একলা, কেউবা কাতারে কাতারে কুচকাওয়াজ করেন। কেউবা চলেন ঝড়ের বেগে, ডানে বামে না তাকিয়ে। কেউবা দেখেশুনে দুলকি চালে। কেউবা লিখে যান বুক চেতিয়ে, কেউবা লিখেন মহাবেগে, কেউবা মেধা আর মননে। কেউবা আখের বুঝে, কেউবা আপন খেয়ালে।
কেউবা খুড়িয়ে খুড়িয়ে, কেউবা গা বাঁচিয়ে।ব্লগ কারো কাছে নেশা, ভালোবাসা। কারো কাছে মতবিনিময়ের প্লাটফর্ম, কারো কাছে বিনে পয়সায় দলীয় আদর্শ প্রচারের হাতছানি। কারো কাছে পিঠ চুলকে দেয়ার সুখানুভূতি। কারো কাছে কবিতা-ছড়া লেখার ডিজিটাল প্যাড।
আর আমার কাছে? যেন এক শ্বেত কপোত। শুনেছি, যা হাওয়ায় নৌকার মতো ভাসে, তাই নাকি কপোত। তেমনি সিলিকনের হাওয়ায় ভাসে ভার্চুয়াল লাইফের সুখ-দুঃখ, নাম না জানা হাজারো অনুভূতি। যেন ইলেকট্রনিক সার্কিটে সার্কিটে ভার্চুয়াল সভ্যতা গড়ে যায় তার পথ। আপনারা কি শুনছেন তার উদ্দাম কলরব?
ব্লগ এক অর্থে সাম্যবাদী। তালতলার কেরানিও এখানে সমানে লিখেন।
ব্লগ মুলত ভার্চুয়াল সাহিত্য, নিত্যদিনের। রবি ঠাকুর বেঁচে থাকলে কি ব্লগে লিখতেন? আমার বিশ্বাস লিখতেন এবং ব্লগের মহিমা দেখে লিখতেন, ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছো আকীর্ণ করি বিচিত্র করি বিচিত্র ছলনাজালে’।
তাই ব্লগ কাঁপানো পোস্ট লিখে যাও বন্ধুরা, যারা আছো মহাসুখে!!
জিয়াউদ্দিন সাইমুমের ব্লগ থেকে
বিবার্তা/জিয়া