কূটনীতিকরা আমাদের পাশেই থাকেন। তবে তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া বড়ই কঠিন! সম্ভবত এ কারণে কূটনীতিকদের নিয়ে অনেক হেয়ালি তৈরি হয়। বলা হয়ে থাকে, একজন কূটনীতিক হচ্ছেন সেই ভদ্রলোক যিনি আরেক ভদ্রলোকের (কূটনীতিক) কাছে এমন ভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন যাতে দ্বিতীয় ভদ্রলোক অন্তত তা বিশ্বাস করার ভান ধরেন। যদিও দ্বিতীয় ভদ্রলোক এটা ভালো করেই জানেন যে, প্রথম ভদ্রলোক একজন ডাহা মিথ্যেবাদী ছাড়া আর কিছইু নন।অপরদিকে প্রথম ভদ্রলোকও এটা বোঝেন যে, দ্বিতীয় ভদ্রলোক তার কথা মোটেও বিশ্বাস করেননি। তারপরও কূটনীতি চলে। দুজন দুজনকে বিশ্বাস করার ভান ধরেন।
ব্যাপারটাকে আরেকটু খোলাসা করে বললে এভাবে বলা যায়, ‘যখন কোনো কূটনীতিক ‘ইয়েস বা হ্যাঁ’ বলেন, তখন তিনি আসলে বোঝান ‘সম্ভবত’। যখন তিনি ‘সম্ভবত’ বলেন, তখন তিনি মূলত ‘না’ বলেন। আর যখন তিনি ‘না’ বলে ফেলেন, তখন তিনি আর ‘কূটনীতিক’ থাকেন না।
কূটনীতিকদের বিশ্বাস: ‘আমি জানি পৃথিবীটাকে কিভাবে সঠিক পথে আনতে হবে। কিন্তু এটা করার সময় যে আমার নেই! আর যাদের সময় আছে, তারা তো এটা করার যোগ্যতা রাখেন না।’
তারপরও পৃথিবীতে কেউ কূটনীতিকের গুরুত্বকে খাটো করে দেখেন না। কারণ তারা পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে কাজগুলোর সূচনা অতি ভদ্রভাবে সমাধা করেন।
জিয়াউদ্দিন সাইমুমের ব্লগ থেকে
বিবার্তা/জিয়া