একেবারে গোঁড়ায় গিয়ে দেখলে দেখা যাবে, ভালবাসাও এক ধরনের পলিটিক্স। পাওয়ার পলিটিক্স। ক্ষমতার রাজনীতি। আমরা এটাকে রাজনীতি বলতে নারাজ। তাহলে এটা রাজনৈতিক। বিশেষত যখন সম্পর্কটা একে অপরের উপর কর্তৃত্ব দিয়ে কলুষিত হতে থাকে। লক্ষ কোটি লোক জানে না ভালবাসা কি, জানে রাজনীতি।
প্রতিপক্ষের উপর ডমিনেট করার রাজনীতি। স্বামী স্ত্রী, বয়ফ্রেন্ড গার্লফেন্ড। একে অপরের উপর কর্তৃত্ব, পুরাটাই পলিটিক্যাল। মানুষ যখন একা থাকে, তখন পলিটিক্স থাকে না। দোকা হলেই শুরু হয় ক্ষমতার রাজনীতি। কে কার উপর কর্তৃত্ব করবে। নানা ছলে, নানা ভঙ্গিমায়। যখন একা, তখন সে বেড়ে উঠে।
তখন তার কোন মুখোশ থাকে না। যেই মাত্র দোকা হল, অমনি মুখোশ পরে নিল। তারপর থেকে বন্ধ হয়ে গেল তার ম্যাচ্যুরিটি, তার পরিণত হবার সুযোগ। কারণ তার মুখোশ। মুখোশ তো আর বেড়ে উঠে না, শুধু বয়স বাড়ে। এই ডমিনেটিং পলিটিক্স এর সাথে বেড়ে উঠে ইগো।
কিন্তু ভালবাসা আর ইগো একসাথে চলতে পারে না। হয়তো সময় চলে গেছে, যাক। কিন্তু ইগো টাকে ফেলে না দিলেই নয়। ভালবাসা না আসুক আর, কিন্তু ইগোটা চলে যাক। কিভাবে এই অহংকে ফেলা যায়? অসম্ভব। ইগো ছাড়া বাঁচি কি করে? ইগো বিসর্জন!! ইট ইজ অল মোস্ট লাইক কমিটিং সুইসাইড।
সুপর্ণা আর তাপসী আড্ডা দিচ্ছিল চা খানায়। সুপর্ণা বলল, ‘কিভাবে বোঝো যে তোমার স্বামী তোমাকে ভালবাসে?’
‘সে প্রতিদিন সকালে ঘরের আবর্জনাগুলো মিউনিসিপাল্টির ডাস্টবিনে ফেলে আসে’।
‘সেটা তো ভালো হাউজকিপিং, আই মিন গৃহ পরিচর্যা?’
‘আমার স্বামী আমার প্রয়োজন মতো চাইলেই টাকা দিয়ে দেয়’
‘সেখানে ভালোবাসা কোথায় রে, সেটা তো উদারতা’
‘উনি কখনো অন্য রমণীর দিকে চোখ দেন না’
‘ওমা, সেটা কিসের ভালবাসা, নিছক চাহনির দুর্বলতা- পুওর ভিশন’
‘শমিক প্রতিদিন আমার জন্যে অপেক্ষা করে, হাসিমুখে দরজা খুলে দ্যায়’
‘সেটাতে ভালবাসা কিরে? বড় জোর গুড ম্যানার, সুন্দর আচরণ’
‘আমি যখন রসুন চিবাই বা চুল কার্ল করি, তখনও আমাকে চুমু দিতে দ্বিধা করে না ও’
‘ওকে, দ্যাট মাইট বি লভ, বাট আইয়াম নট শিউর তাপসী’
পি কে বড়ুয়ার ব্লগ থেকে
বিবার্তা/জিয়া