মানুষ নিজের ভাষার সাথে তাল রেখেই পাখিদের ভাষা শোনে। যেমন, ইউরোপের একটি পরিচিত পাখির নাম ‘চিফচ্যাফ’। বৈজ্ঞানিক নাম সম্ভবত ফিলোসকোপাস কলিভিটা। আমাদের দেশের টুনটুনির মতো সারাদিন বকবক করে।
ইংলিশদের মতে এ পাখির বুলি নাকি ‘চিফ চাফ, চিফ চাফ’। জার্মানরা তা মানতে রাজি নয়। তাদের দাবি এ পাখির বুলি হচ্ছে: ‘জিলিপ-জেলপ, জিলিপ-জেলপ’। ফিনল্যান্ডীরা বলে: ওটা একদম বাজে কথা। এ পাখি ‘টিল-টাল, টিল-টাল’ ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না।
আর স্পেনিশরা বলে: কে বলেছে, এ পাখি চিফ চাফ স্বরে ডাকে? একটু কান পাতলেই শুনবেন; এটা কতই না মধুর সুরে বলে যায়: ‘সিব-সেব, সিব-সেব’।
তেমনিভাবে মোরগের প্রভাতী ডাক ইংরেজদের কানে ‘কক অ্যা ডুডল ডু’, ফরাসিদের কানে ‘কোকো –রিকো’ জার্মানদের কানে ‘কাই-কাই, কাই-কাই’ আর আমাদের কানে ‘কুক্কুরুক কুক’ শোনা হয়।
আবার পাখির ডাক শোনার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষাটাও ফ্যাক্টর। যেমন: ‘বউ কথা কও’ পাখির ডাক মিরসরাই ও নোয়াখালীর ভাষায়: ‘হুক্কে থাকো, কাঁডল হাকো’ ( সুখে থাক, কাঁঠাল পাকো)।
জিয়াউদ্দিন সাইমুমের ব্লগ থেকে
বিবার্তা/জিয়া