খালি স্টেডিয়ামে ঢুকেছেন কখনো? একবার চেষ্টা করুন। মাঠের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ান। কানটা খোলা রাখুন। প্রথমে মনে হবে খালি স্টেডিয়ামের মতো নির্জন জায়গা আর হতে পারে না। পর মুহূর্তে মনে হবে, আরে স্টেডিয়ামতো আসলে ঝরণার মতো ঝরঝর করে কথা বলে।
ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলিতে গেলে শুনবেন, ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর ইংলিশদের সেই কানফাটা উল্লাস। আরেকটু খেয়াল করলে শুনতে পাবেন, একই স্টেডিয়াম থেকে ইংলিশদের বিলাপও ভেসে আসছে। বিলাপটা একই মাঠে ১৯৫৩ সালে হাঙ্গেরির কাছে হারের নিদারুণ মর্মজ্বালা!
মন্টেভিডিওর সেঞ্চেনারিও স্টেডিয়াম উরুগুয়ের বিশ্বকাপ জয়ের নস্টালজিয়া এখনও ছড়াচ্ছে। একই কায়দায় মারকানা স্টেডিয়াম থেকে ১৯৫০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলের হারের নাড়িছেঁড়া আওয়াজ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
স্পেনের বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পের খিলানগুলো ক্যাটালানদের গৌরবগাঁথা বলছে। আবার সৌদি আরবের কিং ফাহদ স্টেডিয়ামে মার্বেল পাথর আর স্বর্ণের ভিআইপি বক্সের সন্ধান পেলেও বিশ্বকাপ জয়ের উন্মাদনা ওখানে মোটেও খুঁজে পাবেন না।
আসলে স্টেডিয়াম কথা কয়। জাতির গৌরব আর হারের কথা বলে।
জিয়াউদ্দিন সাইমুমের ব্লগ থেকে
বিবার্তা/জিয়া