বাংলা ভাষায় ‘ঙ’ দিয়ে শুরু বর্ণ চোখে পড়ে না। সবেধন নীলমণি হিসেবে এখনো টিকে আছে ‘ঙাপ্পি’ শব্দটি। এটির সফল প্রয়োগ দেখিয়েছেন সুকুমার রায়। তিনি তাঁর ‘খাই খাই’ কবিতায় লিখেছেন :
‘ব্যাঙ খায় ফরাসিরা [খেতে নয় মন্দ]
বার্মার ঙাপ্পিতে বাপরে কি গন্ধ।’
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল ও সাবেক বার্মার (বর্তমানের মিয়ানমার) অধিবাসীরা চাটনি হিসেবে তীব্র গন্ধযুক্ত ঙাপ্পি খায়। খোসা ছাড়ানো চিংড়ি মাছের সাথে নানা রকম মসল্লা মিশিয়ে এ খাদ্য তৈরি করা হয়। তবে পাহাড়িদের মাঝে ঙাপ্পি তৈরির ফর্মুলা এক রকম নয়। কেউ কেউ মাছ ও চাল পচিয়েও এ ঙাপ্পি তৈরি করে। চট্টগ্রামে এটা ‘নাপ্পি পোঁচা’ নামে পরিচিত।
ঙ বাংলা পঞ্চম ব্যঞ্জনবর্ণ। তবে অভিধানে এ শব্দটির নানা অর্থ দেখা যায়। যেমন বিষয়, ভৈরব, বিষয়লালসা।
আবার তন্ত্রশাস্ত্রে ঙ-কারের অনেক নাম রয়েছে। যেমন শঙ্খী, ভৈরব, চণ্ড, বিন্দুওংস, শিশুপ্রিয়, একরুদ্র, দক্ষণখ, খর্পর, বিষয়প্পৃহা, কান্তি, শ্বেতাহবয়, ধীর দ্বিজাত্মা, জ্বলিনী, বিয়ৎ, মন্ত্রশক্তি, মদন, বিঘ্নেশী, আত্মনায়ক, একনেত্র, মহানন্দ, দুর্ধর, চন্দ্রমা, যাত, শিবঘোষা, নীলকণ্ঠ, কামেশী, ময়, অংশুক।
জিয়াউদ্দিন সাইমুমের ব্লগ থেকে
বিবার্তা/জিয়া