কোরআনে আছে, ‘প্রতিটি মানুষকেই মৃত্যুস্বাদ আস্বাদন করতে হবে’। মুখোমুখি হতে হবে তিনটি প্রশ্নের। যা ‘সওয়াল জওয়াব’ নামে পরিচিত। কবরে শায়িত করার পর তাকে সর্বপ্রথম জিজ্ঞাসা করা হবে
১.মান রাব্বুকা (তোমার প্রতিপালক কে?) (মুমিন হলে) উওর: রাব্বি আল্লাহ্ (আমার প্রতিপালক আল্লাহ)।
২.মান দীনুকা (তোমার ধর্ম কী ছিল) (মুমিন হলে) উত্তর: দীনি আল ইসলাম (আমার দীন ইসলাম)।
৩. মহানবী স. কে দেখিয়ে বলা হবে ‘মান হাযার রাজুল? (এ ব্যক্তিটি কে?) (মুমিন হলে) উত্তর: হাযা রাসুলুল্লাহ্ (তিনি আল্লাহর রাসুল)
এ তিনটি প্রশ্ন বোখারি শরিফের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। নবী করিম সা: বলেন, বান্দাকে যখন কবরে রেখে তার সঙ্গীরা বিদায় নিয়ে চলে যায়, সে তাদের পায়ের জুতা বা স্যান্ডেলের আওয়াজও শুনতে পায়। ওই সময়েই দুজন ফেরেশতা এসে তাকে বসিয়ে দেন। জিজ্ঞেস করেন, ‘এ লোকটি অর্থাৎ মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে তোমার ধারণা কী? মুমিন ব্যক্তি বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তাকে বলা হয়, তাকিয়ে দেখো, ওই যে জাহান্নামে তোমার আসনটা, সেটার পরিবর্তে আল্লাহ তোমাকে জান্নাতের আসন বরাদ্দ করে দিয়েছেন। উভয় আসনই সে দেখতে পাবে।
মুনাফিক বা কাফেরকে প্রশ্ন করা হবে তুমি কি বলতে পারো এ লোকটা সম্পর্কে? সে বলবে, আমি তো কিছু জানি না। লোকেরা যা বলত, আমিও তাই বলতাম। তখন তাকে বলা হবে, তুমি তো জানতে চাওনি, অনুসরণও করনি। আর ওই মুহূর্তেই বিশাল এক লৌহ হাতুড়ি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হবে। আঘাতের ফলে সে বিকট স্বরে আর্তচিৎকার করে উঠবে, যা তার আশপাশে জিন, ইনসান এ দুই সৃষ্টি ছাড়া আর সবাই শুনতে পাবে। (বুখারি শরিফ)।
অন্যান্য হাদিসে এসেছে, প্রথম প্রশ্ন হবে তোমার রব কে? দ্বিতীয় প্রশ্ন হবে তোমার ধর্ম কি? তৃতীয় প্রশ্ন থাকবে রাসূলুল্লাহ সা: সম্পর্কে। এ ব্যাপারে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
বিবার্তা/জিয়া