দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা, তারাবির নামাজ, জাকাত-ফিতরা আদায়ের পর মুসলিম উম্মাহ রোজা ভঙ্গ করে মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ নিয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ যে আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন তাই ঈদুল ফিতর। এই আনন্দ কর্মশেষে সাফল্যের আনন্দ। ঈদের আনন্দ সর্বজনীন আর তাই এই আনন্দ প্রাপ্তির আনন্দ। এই আনন্দ আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের সাফল্যের আনন্দ।
এ আনন্দ পরকালীন জীবনের জন্য শান্তি ও মুক্তি লাভের এক অনন্য আধ্যাত্মিক অনুভূতির। তাই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের রমজান শেষে শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখামাত্রই খুশির জোয়ার বয়ে যায় প্রতিটি রোজাদারের দেহ মনে। ঈদুল ফিতর বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব। দিনটি মুসলমানদের জন্য বরকতময়ও।
ঈদের দিন সকালে সবাই ঈদগাহে সমবেত হন। একই কাতারে দাঁড়িয়ে আদায় করেন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ। এরপর সবাই একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন, কুশলবিনিময় করেন। একে অপরের বাড়িতে গিয়ে, সাক্ষাৎ করে ঈদ কুশলবিনিময় করেন, আপ্যায়িত হন।
ঈদুল ফিতরে সাদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদের নামাজের আগেই তা আদায় করা উত্তম। কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে না পারলে পরে আদায় করে দিতে হবে। ধনীদের সাথে সাথে গরিব-মিসকিনরাও যাতে সমানভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সে জন্যই এ সাদকাতুল ফিতরের ব্যবস্থা।
এদিকে, ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এর আগে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে এবার ৩০টি রোজা পূর্ণ হয়। সেই হিসেবে এবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, দেশের ৭টি বিভাগীয় ও ৬৪ জেলা কার্যালয় থেকে চাঁদ দেখার চেষ্টা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকেও পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। কিন্তু কোথাও চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। তাই সারাদেশে ঈদুল ফিতর পালিত হবে বৃহস্পতিবার।
বিবার্তা/নাজিম/লিয়ন