ইবলিস শয়তানকে যখন জান্নাত থেকে বিতাড়িত করা হলো, এরপর তার পক্ষে হজরত আদম ও হাওয়া আ. কে কীভাবে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হলো? এমন প্রশ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। ওলামায়ের কেরাম থেকে এই প্রশ্নের দু-ধরনের জবাব বর্ণিত হয়েছে।
যদিও ইবলিসকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো, কিন্তু তারপরও এক পাপিষ্ঠ ও নিকৃষ্ট সৃষ্টিরূপে জান্নাতের ভেতরে প্রবেশ তার বিতাড়িত হওয়ার বিরোধী নয়। এ-কারণে ইবলিস এভাবেই জান্নাতে প্রবেশ করে হজরত আদম ও হাওয়া আ.-এর সঙ্গে এই কথোপকথন করেছিল এবং তাদেরকে প্রবঞ্চনার শিকার বানিয়েছিল। ‘তোমরা সবাই এখান থেকে নেমে যাও’-কথাটি এই বক্তব্যেরই সমর্থন করছে যে পাপিষ্ঠ সৃষ্টিরূপে তখন পর্যন্ত জান্নাতে ইবলিসের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়নি।
মানুষের পাঠানো বার্তা যেভাবে একটি টেলিফোন ও রেডিওর সাহায্যে অনেক দূরে যেতে পারে, ওয়ারলেসে যেভাবে শুধু আলো ও শব্দতরঙ্গের সাহায্যে একটি সংবাদ হাজার হাজার মাইল দূরে পৌঁছানো যেতে পারে, তেমনি এটাও কেন সম্ভব হবে না যে নিকটবর্তী ও মুখোমুখি হয়ে সম্বোধন করা ছাড়াই শয়তানের কুমন্ত্রণা মানুষের অন্তরে পৌঁছে যায় এবং ক্রিয়া করে! তবে আলোচ্য ক্ষেত্রে কুমন্ত্রণা প্রদানের অবস্থা এমন হবে যে, শয়তান জান্নাতের বাইরে থেকেই হজরত আদম ও হাওয়া আ.-এর অন্তরে এই কুমন্ত্রণা দিয়েছিল এবং তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। ‘শয়তান তাদের অন্তরে কুমন্ত্রণা দিয়েছিলো’, আয়াতটি থেকে এ বক্তব্যের সমর্থনই প্রকাশ পাচ্ছে। সূত্র: কাসাসুল কোরআন।
বিবার্তা/জিয়া