ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এখানে সব সমস্যার সমাধান রয়েছে। তেমনিভাবে আমরা কিভাবে পরস্পরের মধ্যে সম্ভাষণ বিনিময় করবো তাও উল্লেখ রয়েছে। সালাম আরবি শব্দ। এর অর্থ শান্তি, প্রশান্তি কল্যাণ, দোআ, আরাম, আনন্দ, তৃপ্তি। সালাম একটি সম্মানজনক অভ্যর্থনামূলক অভিনন্দন সুলভ শান্তিময় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন পরিপূর্ণ ইসলামী অভিবাদন।
একদা এক ব্যক্তি নবীর (সা:) কাছে এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। তখন তিনি বললেন, লোকটির জন্য ১০টি নেকী লেখা হয়েছে। এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন, ওয়া রাহমাতুল্লাহ। নবী তার জওয়াব দিয়ে বললেন, তার জন্য ২০টি নেকী লেখা হয়েছে। অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন ওয়া বারাকাতুহু। রাসুলুল্লাহ তারও জওয়াব দিয়ে বললেন, লোকটির ৩০টি নেকী লেখা হয়েছে। (মিশকাত হা/৪৬৪৪)
যে সকল অবস্থায় সালাম দেওয়া উচিত নয়, তা নিচে দেওয়া হল
১. নামাজ পড়া অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
২. ইস্তিঞ্জারত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৩. অজুরত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৪. খাবার খাওয়া অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৫. কোরআন তিলাওয়াত করা অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৬. জিকির ও মোরাকাবায়রত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৭. ওয়াজ ও নসীহত শুনা অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৮. তালীমি মজলিসে মসগুল অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৯. আজানরত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
১০. হিসাব নিকাশ বা গণনায়রত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
খোশ মেজাজে সালাম দেওয়া উত্তম। সালাম দেওয়া সুন্নত এবং উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। (সূত্র- সুন্নতে মদিনা)
বিবার্তা/জিয়া