প্রিয় নেতা সিদ্দিকি নাজমুল আলম এর চিরন্তন উক্তি "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এতিমের সংগঠন" আর এর জ্বলন্ত উদাহরণ প্রিয় সহযোদ্ধা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কারারুদ্ধ সাধারণ সম্পাদক এসএম তোহিদুল ইসলাম তুহিন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিগুলো সম্ভবত পাকিস্তানের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনা, না হলে স্বাধীনতার এত বছর পরেও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি এখনও বুকেরপাটা ফুলিয়ে হিংস্র রক্তমাখা দাঁতগুলো উছিয়ে প্রকাশ্যে রক্ত চুষে নেয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলোর আজ অবধি।
তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্মীদের রক্ত বেশী প্রিয় এই রাক্ষুসে মাটির ইতিহাস তাই বলে। কারণ ছাত্রলীগের রক্তে ফরমালিন নেই আছে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ পরিপূর্ণভাবে মিশ্রিত।
ফলে লিয়াজু কিংবা বেইমানি করতে পারেনা মা-মাটির কিংবা দলের সাথে। যার কারণে নির্যাতিত হতে হয় প্রতি মূহুর্তে।
যার রয়েছে অসংখ্য উদাহরণ। যেমন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুকের লাশ পড়ে ছিল ম্যানহলে, ছাত্রলীগ নেতা টগর মাসুদ জামাত শিবিরের হামলায় আজ পুঙ্গ হয়ে বসে আছে বাবা মায়ের কোলে, আর তুহিন বর্তমান সময়ের সেরা এতিমের উদাহরণ হয়ে উঠেছে। কারণ ছাত্রলীগ করার অপরাধে তুহিন নিজ ক্যাম্পাসে জামাত শিবিরের হিংস্র হামলার পর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে যায়।
আর এই বেঁচে যাওয়াই ছিল তার অপরাধ। তা না হলে আজ কেন সে গ্রেফতার সাজানো ডাকাতি মামলায় ? তার আগে কেনো তাকে বহিষ্কার হতে হয়েছিল তার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আর এই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেড়ে নিয়েছে তার ছাত্রত্ব।
যার ফলে জামাত-শিবির আজ হো হো করে হেসে চলছে আর লজ্জায় মাথা নিচু করে চলতে বঙ্গবন্ধু আর্দশের সৈনিকরা......
প্রিয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের প্রতি এতটুকু অনুরোধ আমি তুহিন হতে চাই না। তুহিন এর মত হওয়ার আগে অব্যাহতি দিয়ে দিয়েন আবেগ ভালোবাসায় মিশ্রিত প্রিয় সংগঠনের দায়িত্ব থেকে। বেঁচে থাকতে চাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গর্বিত কর্মী হয়ে। কারণ দলের প্রয়োজনে রক্ত দিতে শিখেছি আমি এবং নিতেও শিখেছি কিন্তু তার উপহার হিসেবে কলঙ্ক মাথা নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হতে চাইনা, হারাতে চাইনা নিজের ছাত্রত্ব, হতে চাইনা কোনও কলঙ্কিত মিথ্যা মামলার কয়েদি। কারণ এই স্বপ্ন নিয়ে জন্ম দেয়নি জন্মদাতা পিতামাতা বরং তারা ভালোবাসতে শিখিয়েছে বঙ্গবন্ধু/বাংলাদেশ/শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে মন প্রাণ উজাড় করে।
প্রিয় তুহিন,
এই লজ্জা তোমার নয় এই লজ্জা আমাদের তারপরও পাশে আছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হয়ে সকল বাধা উপেক্ষা করে কারণ রক্তে যে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ পরিপূর্ন ভাবে মিশ্রিত।
জয় হোক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মুক্তিপাক সহযোদ্ধা তুহিন সকল ষড়যন্ত্রের কলঙ্কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। সেই প্রত্যাশায়..........
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, লক্ষ্মীপুর জেলা
বিবার্তা/ইফতি