শেখ হাসিনার জন্য নতুন ধারার হাসি

শেখ হাসিনার জন্য নতুন ধারার হাসি
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৯:৫৯:৩৫
শেখ হাসিনার জন্য নতুন ধারার হাসি
মোমিন মেহেদী
প্রিন্ট অ-অ+
জাতির জনক বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আমি একটি কবিতা লিখেছিলাম; ছন্দোবদ্ধ কবিতা। সেই এক কবিতায় আমার একটি বইও প্রকাশিত হয়েছিলো। নাম- আমাদের পিতা, তিনি আমাদের মিতাও। 
 
এই পিতা ও মিতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সংগ্রামী জীবন নিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে তৈরি হচ্ছি প্রতিনিয়ত। যে কারণে, নতুন প্রজন্মের পাওয়া আর চাওয়ার কথা বলতে রাজপথে নামি, জনগণের কথা বলতে রাজপথে নামি। 
 
নামতে হয় আমাকে। কেননা, আমার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। আর এই পিতাই যখন জন্মদাতা; তখন তাকে নিয়ে কন্যা শেখ হাসিনা তো বই লিখবেনই। বলবেনই  ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’। আর তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমি এখন থেকে বলবো, বাঙালি জাতির জনক তিনি/ তার জন্য দেশ/ তার মতই লড়বো আমি/ কষ্ট করতে শেষ/ কষ্টগুলো পায়ের ধুলো যাবেই হয়ে জানি/ তাই তো হাজার বিপদ এলেও টানছি নীতির ঘানি...
 
পিতার গল্প পড়তে পড়তে এবং জীবন ও দেশ গড়তে গড়তে তিনি নিবেদিত থাকেন লেখার জন্যেও, সাহিত্যের জন্যেও। হয় তো একারণে তার শত্রুরাও দূরে থাকে কষ্ট-সমালোচনা আর ঘৃণার কাছ থেকে। 
 
বাংলাদেশের তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কত সুন্দর লেখেন; কি লেখেন; জানার জন্য এগিয়ে যেতেই চোখের পাতায় ভেসে ওঠে এই লেখাগুলো- ‘স্কুলটা বাড়ি থেকে বেশ দূরে। সোয়া কিলোমিটার। ছোট খোকা সেই স্কুল মানে গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া স্কুলের ছাত্র। তখন চলছে ভর বর্ষাকাল। চারদিকে ফুঁসে উঠছে পানি। নৌকা করে স্কুলে যেতে হয়। একদিন নৌকা দিয়ে স্কুলে থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটল এক দুর্ঘটনা। বর্ষার পানিতে নৌকা ডুবে গেল। নৌকার মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিল। খোকা ভরাবর্ষার পানিতে হাবুডুবু খেয়ে কোনমতে পাড়ে এসে উঠল। এদিকে এ খবর দাদির কানে যাওয়ামাত্র তিনি মহাদুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলেন। সেদিন থেকে দাদির কড়া ঘোষণা, খোকার স্কুলে যাওয়া বন্ধ। গোটা বংশের আদরের দুলাল এক রত্তি সোনার টুকরো নাতি বলে কথা! নাতিকে কলজের টুকরা বলে জ্ঞান করতেন। টুঙ্গিপাড়া থেকে স্কুল বদল করে খোকাকে পাঠানো হলো ওর বাবার কাছে। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়া হলো তাকে। এরপর খোকার পুরো কৈশোর কেটেছে সেখানেই।’
 
এভাবেই লিখেছেন নিজের মত করে নিজের বাবার কথা। দেশে যখন মোটরবাইক কিনে না দেয়ায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বাবাকে হত্যা করছে সন্তান; তখন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না হয়ে বাবাকে নিয়ে লিখেছেন, শৈশবের গ্রাম, চপলতা, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো - সব মিলিয়ে খোকার ছোটবেলাটা ছিল আর আট-দশটি আটপৌরে বাঙালীর মতোই। 
 
সেদিনের সেই ছোট্ট খোকা পরবর্তীতে নিজের প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতা দিয়ে পরিণত হয়েছিলেন মানুষের নেতায়। বাঙালীর স্বপ্নদ্রষ্টায়, বঙ্গবন্ধুতে, স্বাধীনতার স্থপতিতে। বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে যাঁর উচ্চতা ছাড়িয়ে গিয়েছিল আকাশতক। 
 
শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর আত্মমর্যাদার নাম। অহংকারের নাম। বঙ্গবন্ধুর সিংহহৃদয় মানুষের জন্য সবসময় প্রসারিত ছিল। মানুষকে পরম মমতায় নিজের করে নিতে পারার এক ঐশ্বরিক গুণ ছিল তাঁর। আর মানুষও তাঁর কথায় জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে এনে দেখিয়ে দিয়েছিল যে, হে মহান নেতা, তোমার জন্য আমরা সব অসাধ্য সাধন করতে পারি। 
 
যুদ্ধদিনে সাড়ে সাত কোটি বাঙালী বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বিশ্বের অন্যতম প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক অসম যুদ্ধে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখে তাঁর অমোঘ বাণীকে সত্যে পরিণত করেছিল।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এতটাই উৎসাহিত করেছে যে, তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না’। সত্যিই বাঙালীকে কেউ ‘দাবায়া’ রাখতে পারেনি। তখনও না, এখনও না। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে বাঙালী এগিয়ে চলেছে। 
 
তাঁর অনেক পরিচয়। একের ভেতর অজস্র। পুত্র, ভাই, স্বামী, চাচা, মামা, দাদা, নানা, শ্বশুর, শুভাকাঙ্ক্ষী, নিকটজন, নেতা কত পরিচয়েই না তিনি পরিচিত। সব পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে আছে একজন সজ্জন মানুষের প্রতিকৃতি, একজন বিনয়ী মানুষের অবয়ব সর্বোপরি সিংহহৃদয় ও বাঙালীঅন্তপ্রাণ। প্রতিটি পরিচয়ে নিজেকে উজাড় করে মেলে ধরার প্রয়াস রয়েছে। 
 
তাঁর এতসব পরিচয়ের বাইরে একটি পরিচয় নিয়ে কৌতূহল চেপে রাখা বেশ কষ্টকর। সেটা হলো পিতা হিসেবে কেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধু? এমন প্রশ্ন নির্মিত হলেই যেন উত্তরটা পেয়ে যাই শেখ হাসিনার লেখা বইয়ের পাতায় ঠিক এভাবে - সারাটা জীবন মানুষের জন্য ব্যয় করেছেন এই সিংহহৃদয়ের বাঙালী। মানুষের সুখে-দুঃখে, কষ্টে, বেদনায় তিনি তাদের পাশে থেকেছেন। অন্যায়-জুলুমের প্রতিবাদ করেছেন। শোষিতের পক্ষে অবিচল থেকেছেন। দেশ, ভাষা আর মানুষ এই তিন ছিল তাঁর রাজনীতির মূলমন্ত্র। তাঁর রক্তে, অস্থিমজ্জায় রাজনীতি মিলেমিশে একাকার হয়েছিল। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি মানুষকে নিয়ে থেকেছেন। জীবনে এর কোনো ব্যত্যয় হয়নি কিংবা কথাটাকে এভাবেও বলা যেতে পারে যে, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনে এ অঞ্চলের খেটেখাওয়া, অধিকারবঞ্চিত মানুষের পক্ষে লড়াই করাকে ধ্যান-জ্ঞান বলে গণ্য করতেন। বাঙালীর জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। শাসকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মৃত্যুর পরোয়ানা কাঁধে নিয়ে নির্বিকারভাবে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাবার সময়ও বলব আমি বাঙালী, আমি মুসলমান। বাঙালি একবার মরে, বারবার মরে না।’ 
 
এমন সাহসী বাবার সাহসী সন্তান শেখ হাসিনা। শুধু রাজনীতিই করেননি। লিখেছেন অনেকগুলো বই। একাধারে রাজনীতিক-সাহিত্যিক শেখ হাসিনা নির্মাণ করেছেন স্বতন্ত্র অবস্থান। 
 
আমাদের দেশে যখন নারী মানেই গৃহিনী; তখন তিনি সকল প্রথা ভেঙ্গে গড়েছেন স্বকীয় অবস্থান। আর এ কারণে নারী উন্নয়নের পথিকৃত হিসেবেও বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনার অনেক নামডাক। পারিবারিকভাবেই রাজনীতির ধারাপাতের সঙ্গে পরিচিত শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির জন্য পিতাকে একাধিকবার কারাবরণ করতে দেখেছেন বাল্যকালেই। পিতার আদর-স্নেহ ছাড়াই ভাইবোনদের কেটেছে বছরের বেশিরভাগ সময়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতিতেও ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। বিয়ের পর স্বামী-সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও মনের গহীনে ছিলো লোভ-মোহহীন রাজনীতিক হওয়ার স্বপ্ন, যে কারণে স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমৃদ্ধির সোপানপানে যখন এগিয়ে চলেছে দেশ; তখন তিনি বারবার চেষ্টা করেছেন নিজেকে যুক্ত করতে রাজনীতির সাথে, রাজস্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে। এই সময় তার ভাবনা ছিলো, স্বপ্ন ছিলো, ছিলো পরিকল্পনার চাষাবাদ। পঁচাত্তরের প্রেক্ষাপট শেখ হাসিনাকে আবারো বাধ্য করল রাজনীতিতে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে। তখন জাতি স্বপ্নহীন উদ্দেশ্যহীন সময় অতিবাহিত করে যাচ্ছিল আর অপেক্ষার প্রহর গুণছিল দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের জন্য। 
 
তিনি হাল ধরলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হলো। আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য তৈরি হয়ে উঠল জাতি। ঘর থেকে রাজপথে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন, অল্প দিনেই মেধা ও মনন দ্বারা রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দিলেন। আন্দোলন, সংগ্রাম, রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া এবং দেশগড়া হলো তার ব্রত। তারই ক্রমিক নিয়মে তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী।
 
কেবল দেশীয় পরিপ্রেক্ষিতে নয়, আন্তর্জাতিক দরবারেও তিনি এক মহান ও উজ্জ্বল নেতা। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে নারীদের সংগ্রাম, উন্নয়ন ও নেতৃত্বের রোল মডেল। হাজারো প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নেয়া যায়, কেবল প্রগাঢ় বুদ্ধিমত্তা ও অসীম সাহসিকতা দিয়েই যে অর্থনৈতিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের মতো বিশ্বজনীন সমস্যারও সমাধান করা যায়, শেখ হাসিনা তা প্রমাণ করেছেন। তিনি এসব ক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্বের রোল মডেল।
 
 দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও সুশাসন নিশ্চিতের সংগ্রামে অবিচল প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই অবিচল পদক্ষেপে দেশের ক্ষমতালিপ্সু মহল ভারাক্রান্ত। তাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে কখনো-সখনো বিশ্ব সম্প্রদায়েরও কাউকে কাউকে কথা বলতে দেখা যায়। তবে সামগ্রিকভাবে যখন বিশ্লেষণ করা হয়, তখন সব বিতর্ক ছাপিয়ে শেখ হাসিনার কর্মসূচিই প্রাধান্য পায়। তাই তো বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা, বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে আদর্শ ও শ্রেষ্ঠ নেতা আখ্যায়িত করে। 
 
তিনি চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ, সাউথ সাউথ পুরস্কারসহ আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কারে সম্মানিত। এর পেছনে ছিলো তাঁর রাতদিন এক করে এগিয়ে চলার কাব্য। যে কাব্য তিনি নির্মাণ করেছেন নিজের পরিবার হারানোর যন্ত্রণাকে বুকে লালনের মধ্য দিয়ে। শোককে শক্তিতে রুপান্তর করে এগিয়ে চলার কারনেই শ্রেষ্ঠ নারী নেতা হিসেবে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারস ফোরামে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে পেরেছেন। সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন, নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি ও গ্লোবাল ইস্যুতে নারী হিসেবে অনন্য অবদানের জন্যই শেখ হাসিনাকে আদর্শ নেতা হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রার্থনা চলছে তাঁর জন্য। বিশ্বের প্রায় সকল উন্নত দেশে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উত্তরণের সংবাদ, দাপটের সংবাদ দিন রাত আলোচিত হচ্ছে। 
 
তিনি পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক পুরষ্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’লাভের একদিন পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন।  বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৭টি পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘ ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ লাভ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে। 
 
সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো এই যে, জনতার জন্য নিবেদিত এই মহিয়সী নারী রাজনীতিক-সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক ১৯৪৭ সালের ২৮সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করেছেন। আর তার সূত্র ধরে একথা বছরটি রাজনৈতিকভাবে ছিল দুর্যোগপূর্ণ। সাম্প্রদায়িক-রক্তাক্ত দাঙার ভেতর দিয়ে ভারত বিভাজন ঘটে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, যেদিন শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পদার্পণ করলেন, সেদিনও বাংলাদেশের আবহাওয়া ছিল দুর্যোগপূর্ণ, আকাশ ছিল মেঘলা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায়; তিনি ছিলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনার নেপথ্য নায়ক। লাখ লাখ মানুষ বিমানবন্দরে গিয়েছিল শেখ হাসিনাকে হৃদয়ের সুগভীর ভালোবাসা জানাতে। তিনি তখন কাঁদছিলেন। আকাশের কান্না আর শেখ হাসিনার কান্না এক হয়ে যাচ্ছিল। ইংরেজ কবি বলেছেন ‘প্যাথেটিক ফ্যালাসি’। সেই প্যাথেটিক ফ্যালাসির রাজঘর থেকে বাংলাদেশের রাজত্বকে কষ্টের রাস্তা থেকে সরিয়ে যিনি নিয়ে গেছেন নিরন্তর উন্নয়নের পথে; সেই সাহসমানুষ শেখ হাসিনা। আর তাঁর জন্মদিনে নতুন প্রজন্মের পক্ষ থেকে আলোকিত আগামী গড়ার আহবানসহ শুভেচ্ছা অভিনন্দন...
 
আজকে যদি বলি নদী কিংবা বলি ঢেউ/ বিরোধিতা করার জন্য আসবে না কো কেউ/ বরং সবাই ঐক্য হয়ে বলবে বিজয় আসবে/ সেই বিজয়ে রাস্তা ধরে উন্নয়নে হাসবে/ সাহিত্যিক-রাজনীতিক শেখ হাসিনার জন্য নতুনধারার হাসি/ সবাই মিলে গড়বো স্বদেশ বাংলাকে ভালোবাসি...
 
লেখক : চেয়ারম্যান, অনলাইন প্রেস ইউনিটি
 
বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন
 
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com