বর্তমানে হাইব্রিড শব্দটি সবার কাছেই খুব পরিচিত, দেশের যে প্রান্তেই যাই, প্রায় সব জায়গায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছে – ‘হাইব্রিডদের প্রভাবে নেতাদের কাছে সাধারণ কর্মীরা পাত্তাই পাচ্ছে না। কেউ কেউ বিভিন্ন হামলা-মামলার শিকার হয়ে এলাকা ছেড়ে দিয়েছে, আবার অনেকেই প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে, কেউ কেউ আবার চরম অভিমানে রাজনীতি থেকে দূরে অবস্থান করছে।’
বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতারা নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য, সকাল-বিকাল তৈলমর্দন করার জন্য, পা চাটার জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ফুলেরতোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়াচ্ছে। এরাই রাতারাতি দলের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা শুরু করে দেয় এবং তথাকথিত প্রভাবশালী নেতাদের কাছে একসময় এরা খুব প্রিয় হয়ে উঠে।
তাতে করে যারা দলের প্রতিটা বিপদে-আপদে পাশে থেকেছে এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে থাকাকালীন সময় হামলা-মামলার শিকার হয়েছে, এক কথায় দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা যারা নেত্রীর জন্য মানবঢাল বানিয়ে নিজেরা মরে নেত্রীকে বাঁচানোর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে সে সকল নেতাকর্মী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আমার মনে হয়না, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে যে, বিএনপি জামায়াতের লোকজন ধরে এনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করাতে হবে।
আমরা যারা নিঃস্বার্থভাবে দলকে ভালোবাসি, আমরা আশাকরি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। চাটুকারদের বের করে দিয়ে প্রাণপ্রিয় দলটাকে হায়নাদের হাত থেকে ভালোবাসার আওয়ামী লীগকে রক্ষা করবেন তিনি। এবং যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি-নিবেদিত প্রাণ আবার তাদের ভালোবাসার জায়গা প্রাণপ্রিয় আওয়ামী লীগে ফিরে আসার ব্যবস্থা করবেন।
নেত্রীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডে যারা আছেন, এবিষয়ে আপনাদের দৃষ্টিআকর্ষণ করছি। সবাই যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হলে চাটুকাররা দল অনুপ্রবেশ করার সাহস পাবে না। যুগ থেকে যুগান্তরে বেঁচে থাকুক আওয়ামী লীগ, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বেচেঁ থাকুক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
লেখক : সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুমিল্লা জেলা(দক্ষিণ)
বিবার্তা/মৌসুমী