আজ সোমবার দৈনিক প্রথম আলোর ৯ম পাতায় ছোট করে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। সংবাদটির শিরোনাম ‘পচা ডিমে কেক-পাউরুটি’। সংবাদটি কম গুরুত্বসহকারে ছাপা হলেও আমরা মনে করি এটির গুরুত্ব অনেক বেশি। এধরণের সংবাদ প্রথম পাতায় বড় করে ছাপানো উচিত। কারণ এটি মানুষের জীবন মরণের সঙ্গে জড়িত। আমরা যারা ঢাকা শহর কিংবা মফস্বল শহরে বসবাস করি। তারা কেক পাউরুটি অহরহ কিনে খাই। বলা যায় ভাত কিংবা রুটির বিকল্প খাবারই হচ্ছে কেক পাউরুটি। এসব খাবার আমাদের কাছে অনেকটা মুখরোচকও বটে।
এ ধরণের সংবাদ আজই প্রথম ছাপা হয়েছে তাও না। খাবারের মান নিয়ে এর আগেও বহু রিপোর্ট হয়েছে। কেক বিস্কুট পাউরুটিসহ বেকারী সামগ্রী তৈরীর কারখানায় পঁচা ডিম, পঁচা ময়দা, খারাপ চিনি ব্যবহার হয় এটা আমরা আগে থেকেও জানি। আবার সারা দেশের খাবার হোটেলগুলোতে মরামুরগী থেকে শুরু করে পঁচা বাসি খাবার বিক্রির বিষয়টি আমাদের অজানা নয়। এর বিরুদ্ধে অভিযান হয় না, তাও বলছি না। অভিযান প্রতিনিয়ত হচ্ছে। কিন্তু এসব বন্ধ হচ্ছে না কেন?
কারণ এসব যারা করছেন তাদের নীতি নৈতিকতা একদম নেই বললেই চলে। তারা আসলে মানুষ না। মানুষ রূপি পশুই বলা যায়। অধিক মুনাফা অর্জনের জন্যই এসব করছেন তারা। তাদের ছেলে মেয়েরাও যে দোকান থেকে ওই পঁচা-খারাপ জিনিস কিনে খাচ্ছেন না, এমন গ্যারান্টি কি তারা দিতে পারবেন?
আমরা আশা করবো কর্তৃপক্ষ খাবারের বিষয়টির দিকে আরো বেশি নজর দেবেন। শুধু জেল জরিমানা না করে, এর চেয়েও কঠোর শাস্তির বিধান করা যায় কি না তা নিয়ে সরকারকেও ভাবতে হবে। একই সঙ্গে যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বলবো, আপনারা এ থেকে ফিরে আসেন। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করেন। আপনি একজনকে খারাপ জিনিস খাওয়াচ্ছেন। এতে তার স্বাস্থের ক্ষতি হচ্ছে। আপনারও যে ক্ষতি হচ্ছে না, সেটা ভাববার কারণ নেই। তাই আর পঁচা জিনিস দিয়ে খাবার তৈরী করবেন না। হোটেলে খারাপ জিনিস মানুষকে খাওয়াবেন না। নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। এটা কতটা খারাপ কাজ ভেবে দেখুন। এ থেকে ফিরে আসুন।
বিবার্তা/এমএম/এমএইচ