বাংলাদেশ পারে। পারে বাঙালীরা। যেমন পেরেছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙালী। পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে। তেমনি এখনো ১৬ কোটি বাঙালীর ৩২ কোটি হাত। এগিয়ে নিচ্ছে দেশকে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
আমরাও পারি। আমরা করে দেখিয়েছে। আমরা করে দেখাচ্ছি। আমরা দেখিয়ে যাব। পথ সামনে। পেছনে ফেরার সময় নেই। সামনেই এগুতে হবে।
আমরাও পারি। আমরা বিশ্ব ব্যাংককের চোখে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছি। আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি।পদ্মা সেতু নির্মাণ করে ওদের দেখিয়ে দেব। আমরাও পারি।
আমরাও পারি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী। গণতন্ত্রের মানসকন্যা। তিনিও পারেন। তিনি ছিনিয়ে এনেছেন অনেক পুরুস্কার। তিনি এনেছেন এ জাতির জন্য। ২০১০ সালে এনেছিলেন সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) অংশ হিসেবে শিশুমৃত্যু হার কমানোয় সাফল্যের জন্য জাতিসংঘের পুরস্কার।
১৯৯৯ সালে ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (এফএও) কর্তৃক ‘সেরেস পদক’।
তিনি এনেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো থেকে ১৯৯৮ সালে ‘ফেলিক্স হুফে বইনি’ শান্তি পুরস্কার।
আমাদের মহান শহীদ দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আজ সারা বিশ্বে যে উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হচ্ছে তার পেছনেও শেখ হাসিনার অবদান উল্লেখ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি, জাপানের ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের একাধিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে ডক্টর অব ল’জ উপাধি প্রদান করেছে।
২০০৫ সালে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির স্বপক্ষে অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া। এরকম অসংখ্য অর্জন রয়েছে শেখ হাসিনার, যা আমাদেরকে গৌরবান্বিত করে।আমরা বলতে পারি আমরা পেছনে নেই। যাব সামনের দিকে।
আমরাও পারি। আমরা ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বাঘা বাঘা টিমকে পরাজিত করেছি। প্রায় ১১ বছর পর আবারো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের পর এবারই প্রথম সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পেলো টাইগাররা। ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার আইসিসি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে।
নাদিয়া হোসেইন।আর এক বাংলাদেশি। দ্য গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ ২০১৫-এর প্রতিযোগিতায় তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। লন্ডনের অদূরে লুটন শহরে জন্ম নেওয়া নাদিয়ার পৈতৃক বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের মোহাম্মদপুর গ্রামে।কেক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই নাদিয়া। অভিনন্দন নাদিয়াকে।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। গত শনিবার পেরুর লিমায় বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বৈঠক শেষে এক সেমিনারে শ্রেষ্ঠ গভর্নরের নাম ঘোষণা করা হয়। অভিনন্দন গভর্নর আতিউর রহমানকে।
আমরা পারি। আমরা জয় করেছি এভারেস্ট। আমাদের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, মুসা ইব্রাহিম, নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরিনরা জয় করেছে এভারেস্ট।
আমরা নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিতে অভাবনীয় উন্নতি করেছি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের তুলনায় আমাদের অর্জন অনেক বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের যৌথ প্রতিবেদনে স্যানিটেশনে ৩১ ধাপ এগিয়েছি আমরা। আমাদের গ্রামীণ ও শহর এলাকা সুপেয় পানির আওতায় এসেছে ৮৫ শতাংশ।
এর আগেও আমরা আরো অনেক আন্তর্জাতিক পুরুস্কার পেয়েছি। আমরা এগিয়েছি। আমাদের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের কর্মদক্ষতার প্রমাণ রাখছেন প্রতিনিয়ত।
আমরা আশা করবো দেশ এভাবেই এগিয়ে যাবে। আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না। আমরা নিজের পায়ে দাড়াতে চাই। চাই সামনে এগিয়ে যেতে।