আমাদের দেশের যোগাযোগব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র বলতে এখনো রেলকেই বোঝায়। সেই কেন্দ্রে যখন আঘাত আসে তখন ভাবনা হয় বৈকি!
সহযোগী একটি দৈনিকের প্রতিবেদন সেই ভাবনাকে উস্কে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলে প্রতিবছর কোটি টাকার তেল চুরি হয় এবং সেই চুরিতে রেলের উপর-নিচের অনেকেই জড়িত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৫৩টি চক্র এই অপকর্মে জড়িত। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, যখনই তদন্ত কমিটি হয়েছে তখনই সব চাপা পড়ে গেছে। কেননা কমিটি নাকি তদন্ত করে কিছুই খুঁজে পায়নি। পাবেই বা কী করে? যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্তও যে তারাই করছে!
এই ইদুঁর-বেড়াল খেলা থেকেই বোঝা যায় চক্রটি কতটা শক্তিশালী। এই চক্র ভাঙা নিশ্চয়ই দুঃসাধ্য, কিন্তু অসাধ্য নয়।
আজ সময় এসেছে রেলের এই দুষ্টচক্র ভেঙে দেয়ার। আমরা ভাবতেও পারি না সংবাদপত্রে যাদের নাম-পরিচয় ছাপা হয়, তদন্ত কমিটি তাদের খুঁজেই পায় না! তদন্তের নামে এই প্রহসনও বন্ধ হওয়া দরকার। রেলের উন্নয়নে সরকার কোটি কোটি টাকা ঢালবে আর দুষ্টরা সব লুটেপুটে খাবে, এমনটি চিরকাল চলতে পারে না। এ তো সরকারের প্রতি রীতিমত চ্যালেঞ্জ!
সরকার অনেক বিষয়ে সফল হয়েছে, আমরা চাই রেলের দুর্নীতি দমনেও সরকারের সাফল্য অব্যাহত থাকুক।