আধুনিকতার ছোয়ায় জাতীয় যুব সংহতিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক ও জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন। ফেইজ বুক, টুইটারের মাধ্যমে জাতীয় যুব সংহতিকে তৃণমূলে পৌছে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
বুধবার দুপুরে কাকরাইল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে বিবার্তার কাছে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বেলাল হোসেন বলেন, খুব শিগরিই সংগঠনের ওয়েব পেইজের কাজ সম্পুর্ণ করা হবে। ইউনিয়ন, জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নামের তালিকা, নানা কর্মসুচি ও কর্মী সভার খবর ছাড়াও এই ওয়েব পেইজে থাকবে সংগঠনের নানা তথ্য।
তিনি আরো বলেন, দলকে সুসংগঠিত করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্বকে মূল্যায়িত করবেন এরশাদ। আর সে কারণেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৩৬ জন যুব সংহতির নেতাদের তিনি মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এবারও ত্যাগীরা মুল্যায়িত হলে যুব সংহতির কর্মীরা এগিয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বেলাল বলেন, দেশের বেকারত্ব দূর করতে হলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সমাজের সকল ক্ষেত্রে অবক্ষয় নেমে এসেছে। কর্ম সংস্থানের অভাবে যুব সমাজ নানাবিধ অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এখন তাদের সংগঠিত করে দেশের কাজে নিয়োজিত করতে হবে। আর এজন্য জাতীয় পার্টি উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে।
তিনি আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এরশাদের ৯ বছর শাসনামলে যা উন্নয়ন হয়েছে, ৩১ বছরেও এতো উন্নয়ন হয়নি। এরশাদ সরকারের উন্নয়ন ফিরিয়ে আনতে হলে পুনরায় জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতা আনতে হবে। তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাস, মাদক ও নৈরাজ্য মুক্ত দেশ গড়তে জাতীয় পার্টির সরকারের বিকল্প নেই।
যুব সংহতির নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি মানেই এরশাদ। তাই নেতাদের মধ্য কোনো মত বিরোধ নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবন্ধ। ৭৬ সাংগঠনিক জেলার মধ্য ২৫ জেলায় সম্মেলন করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্য জেলা সম্মেলন সম্পুর্ন করা হবে। পহেলা জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সম্মেলনে শক্তির জানান নিবে জাতীয় পার্টি।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে ঢাকাশহর যার সারাদেশ তার। তাই জাতীয় যুব সংহতি ঢাকা দক্ষিণের মহানগর সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। অচিরেই উত্তরের সম্মেলন করা হবে। এই বছরের মধ্য সারাদেশে মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা কমিটির সম্মেলনে নেতৃত্বে নির্বাচিত করা হবে।
কোনো পকেট কমিটি করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বেলাল হোসেন বলেন, ১২ বছর ধরে জাতীয় যুব সংহতিতে নানা পদে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি। তখন থেকেই পকেট কমিটির বিরোধীতা করেছি। তাই ঢাকা বসে নয়, গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জেলায় জেলায় সম্মেলন করবো। তাই যুব সংহতিতে কোনো পকেট কমিটি নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। বিএনপির দিন শেষ। জাতীয় পার্টির দিন শুরু। জাতীয় পার্টিতে এরশাদের আদর্শ বাস্তবায়ন করাই আমাদের কাজ।
বিবার্তা/এআর/আরআই.