মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স দেশের অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি এমসিসি নামেই বেশি পরিচিত। দীর্ঘ আট বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে মোবাইল অ্যাপস ও ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশে ও দেশের বাইরে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্বীকৃতি পেয়েছে এমসিসি। এর মধ্যে আছে ওয়ার্ল্ড সামিট ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, এমবিলিয়ন্থ অ্যাওয়ার্ড, মন্থন অ্যাওয়ার্ড প্রভৃতি। এ ছাড়াও ইনোভেশন এক্সট্রিমে সেরা পাঁচটি স্টার্টআপের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে তাদের নতুন উদ্যোগ ‘লেটস ইট’।
অ্যাপ্লিকেশনের বাজারে পণ্য তৈরি ও দক্ষতা উন্নয়নে এমসিসি চালু করেছে ‘এম ল্যাব’। এসব বড় আকারের মোবাইল অ্যাপস পণ্য বাজারে আনার মধ্যে দিয়ে দেশীয় অ্যাপ্লিকেশনের বাজারে নতুন ধারার সূচনা করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুরু থেকে বর্তমান সময়ের কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও দেশের মোবাইল অ্যাপসশিল্পের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্দপুরে এমসিসি’র কার্যালয়ে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী এস এম আশরাফ আবিরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবার্তা২৪ডটনেটের প্রতিবেদক উজ্জ্বল এ গমেজ।
বিবার্তা : এমসিসি’র কার্যক্রম বিষয়ে বলুন।
আশরাফ আবির : ২০০৮ সালে শুরুতে এর কর্মী ছিল মাত্র তিনজন, বর্তমানে কাজ করছেন প্রায় ৬০ জন তরুণ কর্মী। এখানে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ও মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন।
এমসিসি’র শুরুর দিকে মূল লক্ষ্য ছিল মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এবং ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি। স্থানীয় বাজারের জন্য স্থানীয় ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করা। সে সময় ইন্টারনেট এখনকার মতো সহজলভ্য ছিল না। তখন আমরা তৈরি করেছিলাম ‘লেমন ২৪’ নামের একটি অনলাইন রেডিও, যা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এরপরে ২০০৯ সালের দিকে আমরা নকিয়া বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করি। তখন নকিয়া ফোনের জন্য বিভিন্ন অ্যাপস তৈরির মাধ্যমে ফোনগুলো স্থানীয় ব্যবহারকারীদের জন্য আরও ব্যবহার উপযোগী করে তোলার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে নকিয়া ফিনল্যান্ড এবং নকিয়া থাইল্যান্ডের সাথেও কাজ করার সুযোগ হয় আমাদের।
ধীরে ধীরে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস প্রভৃতি প্ল্যাটফর্মের জন্যও অ্যাপ তৈরির শুরু করি। তখন দেশের কিছু জনপ্রিয় ওয়েবপোর্টালের জন্যও অ্যাপ তৈরি করার সুবাদে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের কাজ করার সুযোগ হয়। এর মধ্যে আছে গ্রামীণফোন, টেলিনর, মোজিলা, বিবিসি, ইউএসএইড, ইউনিসেফ প্রভৃতি। এর বাইরেও আমরা তৈরি করেছি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশি কিছু অ্যাপস ।
কয়েক মাস আগে মানুষের খাওয়া-দাওয়ার সেবাকে আরো সহজ করতে চালু করি ‘লেটস ইট’ নামের রেস্টুরেন্টভিত্তিক একটি অ্যাপ। বর্তমানে এটি শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ‘লেটস ইট’র কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। সব মিলিয়ে শিগগিরই দেশের বাইরে ছয়টি শহরে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যটনশিল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে এবং পর্যটকদের ভ্রমণকে আরো সহজ করতে ‘ঘুরবো ডটকম’ নামের একটি ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট চালু করেছি। শিশুদের জন্যও বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করেছি। এর অন্যতম হলো ‘রুপকথা’ যেখানে রয়েছে শিশুদের প্রিয় বিভিন্ন রূপকথার গল্প। এ ছাড়া জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনাকে নিয়ে ইউনিসেফের একটি বিশেষ গেম প্রকল্পের কাজ করছি আমরা।
বিবার্তা : বাংলাদেশে অ্যাপশিল্পের শুরুটা কীভাবে?
আশরাফ আবির : আজ থেকে বছর আটেক আগেও স্মার্টফোন এতো সহজলভ্য ছিল না। সবাই ফিচারফোন ব্যবহার করতো। তখন সদ্যবিলুপ্ত নকিয়া মোবাইলের ছিল ওভি, নকিয়া স্টোর। অ্যাপের জন্য স্টোরটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু নকিয়া তাদের মোবাইল ব্যবসা মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি করে দেয়ায় তা উইন্ডোজ স্টোর হিসেবে মাইক্রোসফটের হাতে চলে যায়। বলা যায়, বাংলাদেশে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপসের যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র। এটা মাত্র বিকশিত হতে শুরু করেছে। বাংলা ভাষায় অ্যাপ বানানো শুরু হয়েছে। তাছাড়া থ্রিজি চালুর পর দেশীয় অ্যাপ ও কনটেন্টের বাজার খুব একটা বড় হয়নি। সরকার এ বছরেই ফোর-জি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। তখন টেলিকমের বাজারও অনেকটা আইসিটি পণ্যনির্ভর হয়ে পড়বে। তবে যে গতিতে আমাদের ডেভেলপাররা উঠে আসছে স্থানীয়ভাবে অ্যাপসের একটি বিলিয়ন ডলারের স্থানীয় বাজার তৈরি হতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না।
বিবার্তা : দেশের অ্যাপশিল্পের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
আশরাফ আবির : দেশের রফতানি আয়ের প্রায় ২০ ভাগ আসে অ্যাপসশিল্প থেকে। বলা যেতে পারে, ১০০-২০০ মিলিয়ন ডলারের বাজার এখন আমাদের। এটা আমাদের লোকাল মার্কেট। এই অ্যাপের সঙ্গে মোবাইলফোন অপারেটররাও জড়িত। দিন দিন এই মার্কেট বড় হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে দেশের একটি গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রাইজআপ ল্যাবসের নাম বলতে পারি। ওদের তৈরি একটি মোবাইলভিত্তিক গেম হলো ‘ট্যাপ ট্যাপ’। এটি এখন পর্যন্ত ৫০ মিলিয়ন ডাউনলোড করা হয়েছে। গেমটি দীর্ঘদিন আইওএসের টপ চার্টে ছিল। এরকম অনেক কম্পানি আছে, যারা বিশ্ববাজারে খুব ভালো করছে। বিশ্বে স্টার্টআপ কম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করা যোগাযোগভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ এখন ২১ বিলিয়ন ডলারের কম্পানি। ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবও এভাবেই তৈরি হয়েছে। কোনো কিছুই এক দিনে হয়ে ওঠে না।
আর অ্যাপ্লিকেশনের বাজার বিলিয়ন থেকে এখন ট্রিলিয়ন ডলারে রূপান্তরিত হচ্ছে। দেশে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও স্মার্টফোনের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে অ্যাপ তৈরিতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। মোবাইলভিত্তিক এ প্রযুক্তি ২০১৬ সালে ৪১ বিলিয়ন এবং ২০২০ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করবে। এ খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানও হবে।
বিবার্তা : এই শিল্প বিকাশে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এগুলো উত্তরণের উপায় কি?
আশরাফ আবির : প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে বিনিয়োগ। আমাদের ছোট ছোট অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের যেসব সৃজনশীল আইডিয়া ও টিম আছে তাদেরকে সাপোর্ট করতে হবে। তাদের সাহায্য না করলে নতুন নতুন উদ্যোগগুলো টিকে থাকবে না।
একই সাথে বিদেশি বিনিয়োগ আমরা আশা করতেই পারি। তবে দেশি বিনিয়োগের একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কারণ আমাদের দেশের প্রোডাক্টগুলোর প্রতি যদি আমরাই ট্রাস্ট করতে না পারি তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারী পাওয়াটা অনেক কঠিন। কারণ আমাদের দেশ থেকে কেউ যদি সিলিকন ভ্যালিতে কোনো প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য নিয়ে যায় তখন তারা বলবে তোমার দেশে এটি কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে?
দেশে যারা বিভিন্ন ব্যবসায় সফল তাদেরকে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে যে ইনোভেশন, রিসার্চ কালচার রয়েছে এগুলোর প্রতি আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
বিবার্তা : বাজারে কোন ধরনের অ্যাপসের চাহিদা বেশি?
আশরাফ আবির : তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সবাই চায় আরাম-আয়েশে জীবনযাপন করতে এবং সহজে, কম সময়ে অনেক বেশি কাজ সম্পন্ন করতে। মানুষের প্রতিদিনকার জীবনকে স্বচ্ছন্দ করতে যে সকল ছোট সমস্যা রয়েছে এগুলোর সমাধান দেবে যে অ্যাপ, সেগুলোর চাহিদাই বাজারে সবচেয় বেশি। এখন যেমন নিউজপেপার, ইউটিলিটি বিল পরিশোধের অ্যাপগুলোর চাহিদা বেশি।
বিবার্তা : দেশে যেভাবে অ্যাপস ডেভেলপার বাড়ছে সেভাবে দক্ষতা উন্নয়নে স্থায়ী প্রতিষ্ঠান কি গড়ে উঠছে? আপনার অভিজ্ঞতা কি বলে?
আশরাফ আবির : না, এখনও তৈরি হয়নি। তবে বেশ কিছু ভালো মানের অ্যাপস ডেভেলপিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান দক্ষ অ্যাপ ডেভেলপার তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। বেসিসের সদস্যভুক্ত নতুন কম্পানিগুলোর মধ্যে ২০-২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান অ্যাপ তৈরি করছে। এর বেশিরভাগই অ্যাপস গেমস বা ই-কমার্সভিত্তিক। তবে এসব প্রতিষ্ঠান সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো ভালো করবে বলেই আমার বিশ্বাস।
বিবার্তা : অ্যাপ ডেভেলপারদের দক্ষতা উন্নয়নে আপনার প্রতিষ্ঠান কী করছে?
আশরাফ আবির : গত ডিসেম্বরে আমরা ‘এমল্যাব’ নামের একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব চালু করেছি। যারা মোবাইলভিত্তিক পণ্য তৈরি করতে চায় তাদের এখানে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসায়ের প্রসারের জন্য অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এখানে। এর পাশাপাশি আছে আমাদের নিজস্ব ইনকিউবেটর, যেখান থেকে এখন পর্যন্ত চারটি স্টার্টআপকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের বিনামূল্যে এই ল্যাবটি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও বিজনেস এবং টেক - এই দুটি বিষয়ে নারীরা যে কোনো আইডিয়া আমাদের কাছে নিয়ে এলে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। আমরা নারী উদ্যোক্তাদের এই শিল্পে নিয়ে আসতে চাই।
বিবার্তা : দেশীয় অ্যাপশিল্পকে আন্তর্জাতিক মানের করতে এমসিসির পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ আছে?
আশরাফ আবির : আমাদের শুরু হয়েছিল নকিয়ার স্মার্ট ফোনের জন্য সিমবিয়ান ও জেটুএমই অ্যাপ বানিয়ে। এখন আমরা অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস ও উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ বানাচ্ছি। বৈশ্বিক বাজারের জন্য বিনামূল্যের অ্যাপ বানালেও তার একটি রেভিনিউ মডেল থাকতে হবে। কারণ কম্পানিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হলে স্থানীয় ও বৈশ্বিক যে বাজারেই কাজ করি, অবশ্যই উদ্ভাবনী পণ্য বানাতে হবে।
আমরা শুরু থেকেই উদ্ভাবনে জোর দিয়েছি। আগামীতে উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। এছাড়া একটি অ্যাপ কম্পানিকে টিকে থাকতে গেলে তার পণ্যের অবশ্যই সফল মার্কেটিং করতে হবে। আমরা সেদিকে মনোযোগ বাড়াচ্ছি। কারণ, আমরা যত ভালো পণ্যই বানাই না কেন, তা যদি ব্যবহারকারীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে না পারি তাহলে তা সফল হবে না।
বিবার্তা : সাধারণ মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, দেশের সফটওয়্যার বাজার বিদেশিদের দখলে চলে গেছে। কথাটা কি ঠিক?
আশরাফ আবির : এ বিষয়ে আমার একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। আমার মনে হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের কারণেই দেশের পণ্য বিদেশিদের হাতে চলে যাচ্ছে। এদিক থেকে বিদেশি কম্পানিগুলোকে পলিসিগতভাবে আমরাই এগিয়ে দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও যে সক্ষমতা, দক্ষতা, যোগ্যতা রয়েছে তা সমষ্টিগতভাবে প্রমাণ করতে হবে।
আরেকটা বিষয় হলো বিদেশি কম্পানি তো আর নিজে থেকেই আসছে না। আমরাই কেউ না কেউ তাদের ডেকে আনছি। তাই আমাদের দেশের যেসব কম্পানির কাজ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাদেরকে দেশীয় কম্পানির উপর ট্রাস্ট করতে হবে। আমাদের কিন্তু বেশ কিছু কম্পানি বিদেশে সফলভাবে কাজ করছে। এভাবে একটা দুইটা না, ৩-৪শ কম্পানি তৈরি করতে হবে। তাহলেই দেশের উপরে এর প্রভাব ফেলবে।
বিবার্তা : ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনার প্রতিষ্ঠান কি ভূমিকা রাখছে?
আশরাফ আবির : ইতোমধ্যেই সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর এ যাত্রায় শুধু আমার প্রতিষ্ঠানই নয়, যারা টেকনোলজি নিয়ে কোনো না কোনোভাবে কাজ করছেন তারা সবাই কিছু কিছু করে অবদান রেখে যাচ্ছেন। যেমন, বেসিসের ১০০০ মেম্বার কম্পানি, নন কম্পানি, যারা ইনোভেশনমূলক ও টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছেন তারা সবাই এই যাত্রায় অবদান রাখছে। আপনাদের বিবার্তাও এই যাত্রায় অবদান রাখছে। অনলাইন না হয়ে এটা তো কাগজের পত্রিকাও হতে পারতো। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর অনলাইন নিউজপোর্টালের মাধ্যমে পাঠকদের প্রতি মুহূর্তে সেবা দিয়ে আপনারাও এই যাত্রায় অবদান রাখছেন।
বিবার্তা/উজ্জ্বল/হুমায়ুন/মৌসুমী