পলাশ মাহবুব, একজন লেখক ও নাট্যকার। দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশনেও কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে বৈশাখী টেলিভিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার। সম্প্রতি বিবার্তা২৪.নেটের সাথে কথা হয় তার লেখালেখি, ঈদের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে। সেই আলাপচারিতার চুম্বক অংশগুলো বিবার্তার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
বিবার্তা : ঈদের ব্যস্ততা কি শেষ হয়েছে?
পলাশ মাহবুব : ঈদ মানেই তো আমাদের টেলিভিশনগুলোর সাত আট দিনব্যাপী আয়োজন। বৈশাখী টেলিভিশনও তার ব্যতিক্রম নয়। সাত আট দিনের আয়োজন বিশাল ঝক্কির ব্যাপার। ঈদের ব্যস্ততা তাই ঈদের সপ্তম দিন পর্যন্ত চলবে। ব্যস্ততাই হচ্ছে আমাদের গণমাধ্যম কর্মীদের ঈদ।
বিবার্তা : ঈদে আপনার লেখা কয়টি নাটক আসছে?
পলাশ মাহবুব : এবার নাটকের সংখ্যা একেবারেই কম। মাত্র একটি। আসলে প্রতি ঈদেই আমার একাধিক নাটক প্রচার হয়। এবার অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে নাটকে ঠিকঠাক সময় দিতে পারিনি। তারপরও একটি নাটক থাকছে। ‘আরজে মোখলেস’ নাটকটি বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচারিত হবে ঈদের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে।
বিবার্তা : নাটকটির গল্প কেমন?
পলাশ মাহবুব : আমি সাধারণত গল্প নির্ভর নাটক লিখে থাকি। ‘আরজে মোখলেস’ নাটকটিও সে ধরণের। নাটকটিতে মজা এবং মেসেজ দুটোই পাবেন দর্শকরা।
বিবার্তা : এবারের ঈদে বৈশাখীর আয়োজন কেমন?
পলাশ মাহবুব : ঈদ আয়োজনে আমাদের টেলিভিশনগুলোর মোটামুটি একটা ফরমেট দাঁড়িয়ে গেছে। আমরা তার মধ্যে থেকেই কনটেন্টে ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করেছি। সবমিলিয়ে বলতে পারি আমাদের এবারের আয়োজন ব্যানন্সড।
বিবার্তা : আর ঈদের লেখালেখি?
পলাশ মাহবুব : নাটক লেখায় উৎসব কেন্দ্রিক হলেও অন্যান্য লেখালেখি আমি বছর জুড়ে করি। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন অনলাইন এবং সংবাদপত্রে লিখি। ঈদেও বেশকিছু পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমের জন্য লিখেছি। এছাড়া ঈদের পরপরই পাঞ্জেরি প্রকাশন থেকে আমার নতুন একটি বই প্রকাশিত হবে। একুশে বইমেলার বাইরে এসে বছরের অন্যান্য সময়েও বই প্রকাশের চেষ্টা করছি।
বিবার্তা : তাহলে ঈদের পরে কেন?
পলাশ মাহবুব : আসলে সময় কুলিয়ে উঠতে পারিনি। তবে আগামী বছর থেকে ঈদে নতুন বই প্রকাশ করবো। আমাদের প্রত্যাশা ঈদে নতুন জামা-জুতোর পাশাপাশি একদিন মানুষ বইও কিনবে। বই হবে ঈদের সালামি। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।
বিবার্তা/নাজিম