ভোটের রাজনীতিতে এরশাদ জিরো

ভোটের রাজনীতিতে এরশাদ জিরো
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৫, ২০:০০:০২
ভোটের রাজনীতিতে এরশাদ জিরো
বশির হোসেন খান
প্রিন্ট অ-অ+
এককভাবে নির্বাচন করার ক্ষমতা এরশাদের নেই, ভোটের রাজনীতিতে এরশাদ জিরো- মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের প্রচার সম্পাদক, জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক মফিজুর রহমান লিটন। রবিবার দুপুরে পল্টনে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিবার্তা’র সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
 
আগামী নির্বাচনে এরশাদ এককভাবে অংশ নেবেন, আপনারাও নির্বাচনে যাচ্ছেন কিনা এমন প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘আমাদের কাছে এরশাদ রাজনৈতিক কোনো ফেক্টর না, তাকে নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। তার এককভাবে নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই, ভোটের রাজনীতিতে এরশাদ জিরো। এর প্রমাণ হচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে এরশাদ প্রচারনায় নামলেও জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।বাংলাদেশে রাজনৈতিক কোনো দলে জাতীয় পার্টির মত বহিষ্কারের নজির নেই, এরশাদ কথায় কথায় বহিষ্কার করেন। তার দল এখন লিমিটেড ক্লাবে পরিণত হয়েছে। তাই এরশাদের নাম গিনিস বুকে স্থান পাওয়া উচিত।’ 
 
জাতীয় পার্টির একাংশের প্রচার সম্পাদক, জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক বলেন, এরশাদের বহিষ্কারের ছোবল থেকে স্ত্রী রওশন এরশাদ, ছোটভাই জিএম কাদের, ভাতিজা শাহরিয়ারও রক্ষা পাননি। আবার কয়েক দিন পর তাদের দলে ফিরিয়ে এনেছেন।
 
ইসি নিবন্ধিত দল হিসাবে জাতীয় পার্টির মার্কা লাঙল। তা সত্ত্বেও আপনারাও লাঙর মার্কা দাবি করছেন কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে সেচ্ছাসেবক পার্টির এই নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি মালিক  এরশাদ একা নন, জাতীয় পার্টি পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এরশাদের জাতীয় পার্টির(জাপা) মার্কা লাঙ্গল, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু’র জাতীয় পার্টির(জেপি) মার্কা সাইকেল, নাজিউর রহমান মঞ্জু’র বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মার্কা কাঁঠাল, ড.আব্দুল মতিনের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মার্কা মাছ, জাফরের জাতীয় পার্টির মার্কা লাঙ্গল দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, এরশাদ জাফর আহমেদকে বহিষ্কারর করেন। কয়েক মিনিটের মধ্য জাফর আহমেদও এরশাদকে বহিষ্কার করেন। এরশাদ একক ক্ষমতাবলে করেছেন। আর জাফর আহমেদ ১২ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যর সমন্বয়ে এরশাদকে বহিষ্কার করেন।
 
তিনি আরো বলেন, এরশাদ ব্যক্তিগত ফায়দা হাছসলের জন্য পার্টিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। ঠিক তখনি এরশাদকে চ্যালেঞ্জ করে জাফর আহমেদ নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু সেই নোটিশের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন এরশাদ।
 
লিটন আরো বলেন, এরশাদের জাতীয় পার্টি ছেড়ে ১২ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ প্রায় ২ শতাধিক নেতার দাবির মুখে জাফর আহমেদ নতুন দল জাতীয় পার্টি গঠন করে সম্মেলন করেন।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন মিজানুর রহমান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কাজী জাফর আহমেদ, টিএম ফজলে রাব্বি চৌধুরিসহ প্রায় ১ ডজন নেতা এরশাদের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু তারা এখন কেউ এরশাদের সঙ্গে নেই।
 
তিনি বলেন, এরশাদের জাতীয় পার্টির চিকিৎসা করা দরকার। কারণ রওশন এরশাদ-জিএম কাদের এক গ্রুপ, আনিস, বাবলু, রেজাউল আরেক গ্রুপ। আর এরশাদ একা এক গ্রুপ। এই হচ্ছে এরশাদের জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টিতে এরশাদ কর্তৃত্বহীন। আনিস, বাবলু, রেজাউল কথাতেই জাতীয় পার্টি চলে।
 
এরশাদের জাতীয় পাটি গৃহপালিত বিরোধী দল উল্লেখ করে লিটন বলেন, এরশাদ রিমোট কন্ট্রোলে চলেন, সরকারের নির্দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। মন্ত্রিত্ব ছাড়া কথা বলছেন কিন্তু ছাড়ছেন না। বরং এরশাদ নিজেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
 
তিনি বলেন, কাজী জাফর বেঁচে না থাকলেও তার আদর্শ ধরে রাখতে সারাদেশে জাফরের জাতীয় পার্টিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
 
বিবার্তা/বিকে/হাসান
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com