বাংলাদেশে পর্যটকদের নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। বিদেশিরা নিবিঘ্নে সোনার বাংলায় ভ্রমণ করতে পারেন। বর্তমান সময়ে যে নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে, তা সম্পূর্ণই মনগড়া। এর চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি অতীতে বাংলাদেশে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমেদ।
বর্তমানে দেশে পর্যটকদের নিরাপত্তার প্রশ্ন নিয়ে বিবার্তা২৪.নেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ফলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তুলে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হচ্ছে তা খুবই নিন্দনীয়। তারা কোন পর্যটক ছিলেন না। তারা আর পাঁচজনের মত এদেশের সাধারণ নাগরিক ছিলেন।
তাদের মৃত্যুর পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ জাপানিরা এদেশে তাদের সফর বাতিল করছে এমন প্রশ্নে ড. মজিব বলেন, জাপানিরা কেন সফর বাতিল করছে সেটা আমার জানা নেই। তবে তাদের এই সফরে আসার কথা ছিলো স্টুডেন্টদের। আর সাধারণত তাদের পিতা-মাতারা বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন মনে করেই তাদের এ সফর বাতিল করেছেন বলে মনে হয়।
সরকার বলছে বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্যুরিজম খাতে এখনও কোন বিদেশি না আসায় খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। এর সাথে কি আপনি একমত? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যা সরকার সঠিক বলেছে। আমিও দেখছি না। বিদেশি না আসায় খুব বেশি প্রভাব পড়ছে বলে মনে হয় না। কিছু মানুষ এ দুই হত্যাকাণ্ডকে অতিরঞ্জিত করে দেখার ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের স্বভাবগত কারণে এটি হচ্ছে।
দুই বিদেশি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের পর যে সকল লোকজন এই হত্যাকাণ্ডকে অতিরঞ্জন করে বলছে, তাদের কথাগুলো যদি মিডিয়া গুরুত্বসহকারে না দেখায়, তাহলে সরকার যে ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ করে ১০ লাখ বিদেশি পর্যটক আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে তা পূর্ণ করতে সক্ষম হবে। এজন্য মিডিয়ার সহযোগিতা রয়েছে।
বর্তমানে বিদেশিদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে এ্যালারমিং কোন কিছু দেখছি না বলেও জানান ঢাবির এ অধ্যাপক।
বিবার্তা/প্লাবন/মহসিন