ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেছেন, দেশের অনলাইন পত্রিকাগুলো বিভিন্ন সময়ে ভুল-ভ্রান্তিকর সংবাদ উপস্থাপন করে(যে ওই সংবাদটি সত্য না মিথ্যা) মানুষকে বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়। সে কারণে অনলাইন পত্রিকা সমুহের অনৈতিক ব্যবহার রোধে নিবন্ধন প্রয়োজন।
সম্প্রতি দেশের অনলাইন পত্রিকাগুলোকে নিবন্ধন করতে বলেছে সরকার। আর এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবার্তা প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মফিজুর রহমান একথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণত সোস্যাল মিডিয়া নিয়ে একটা বিভ্রান্তির সম্ভবনা থাকে।কারণ এটির জায়গা অপ্রতুল।আর এটির যদি যথাযথ ম্যানেজমেন্টের মধ্যে না আনা যায় তাহলে, কে কি করছে, কারা এটি চালাচ্ছে তা জানা যায় না।ফলে নিবন্ধন প্রয়োজন।
অনলাইনগুলোর নিবন্ধনের ফলে এটির বিকাশের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হবে কিনা এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন, দেশে অজস্র অনলাইন পত্রিকা আছে।এদের যদি একটা সিস্টেম বা কোনো প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা না যায়, তাহলে বোঝা যাবে না কে বা কারা ওই পত্রিকাটি চালাচ্ছে।তারা একটা ম্যানেজমেন্টর বাহিরে থেকে কাজ অতিবাহিত করে যাচ্ছে।তাদের এসকল কাজের বিষয়ে আমাদের জানতে হবে।নিবন্ধন করলে তাদের কাজ সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো এবং তারা অবৈধভাবে চালু করলে সেটি আর করতে পারবে না।নিবন্ধনের ফলে অনলাইন পত্রিকার বিকাশে বাধাগ্রস্ত হবে না বরং তারা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারবে।
সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে নিবন্ধন করলে সরকারে পক্ষ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।আপনি এটিকে কিভাবে দেখছেন? তিনি বলেন, যদি তারা একটা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে আসে, তাহলে অন্যান্য গণমাধ্যমের ন্যায় তারাও সুযোগ-সুবিধা পাবে।আর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনলাইন পত্রিকার আয় হয় সেক্ষেত্রে, বিজ্ঞাপন না পেলে তারা একটা দাবি তুলতে পারবে।
অপসাংবাদিকতা রোধেই নাকি সরকার এই নিবন্ধন করছে। আপনি কি এর সঙ্গে একমত পোষণ করছেন? জবাবে অধ্যাপক মফিজুর বলেন, বর্তমানে দক্ষ, যোগ্য কর্মীর তুলনায় অনলাইন পত্রিকা বেশি আছে। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্য লাইন (সাংবাদিকতা বাদে) হয়েও তারা এসকল পত্রিকার হাউজে কাজ করছে। ফলে যেটা দেখা যায়, তাদের মধ্যে সাংবাদিকতার নৈতিকতাবোধ কাজ করে না। তারা অন্যান্য সাইট থেকে নিউজ নিয়ে কাট-পেস্ট করে। কিন্ত যেখানে দক্ষ, যোগ্য কর্মী আছে সেখানে এটি হয় না। তারা তাদের রিপোর্টারের মাধ্যমে নিউজ সংগ্রহ করে থাকে। সেকারণে অপসাংবাদিকতা রোধে নিবন্ধন প্রয়োজন আছে।
প্রফেশনালিভাবে সাংবাদিকতা করতে হলে, সাংবাদিকতার নৈতিকতা বজায় রাখতে হলে অনলাইন পত্রিকাগুলোর নিবন্ধন করা প্রয়োজন আছে বলেন মনে করেন এ অধ্যাপক।
বিবার্তা/রেজা/জাহিদ