২০১২ সালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও নতুন কমিটি দিতে পারেনি এখনও। যদিও নতুন কমিটির তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতে রয়েছে। তবে এই কমিটিতে পদ পদবী পাওয়া না পাওয়া নিয়ে ভাবছেন না ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
তার মতে, আমি মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রাজপথে রয়েছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার ২০২১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়ারও কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিবার্তা২৪.নেটকে একান্ত সাক্ষাতকারে শাহে আলম মুরাদ এসব কথা বলেন।
শাহে আলম মুরাদ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া না পাওয়া নিয়ে বলেন, ২০০৩ সাল থেকে নগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে আসছি দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী। আমি নগর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে চাই। আমি বিগত দিনের বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলাম। ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকব। কিন্তু আমি পদ পদবী নিয়ে ভাবি না। আমি ভাবছি শেখ হাসিনার ২০২১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন নিয়ে।
তিনি বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি সম্পর্কে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের রজনীতি মানেই সন্ত্রাস।আর জামায়াতের রাজনীতি কোনো রাজনীতি নয়। যারা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমি আশা করি আদালত জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবে।
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতেই বিএনপি-জামায়াত জোট গুম ও খুনের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। এর পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বিদেশে বসে সব ষড়যন্ত্র করছেন। তার নির্দেশেই বিদেশি নাগরিকসহ সাধারণ মানুষ গুম ও খুন হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটি বৃহত দল। এই দলে কোনো সন্ত্রাসী ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতো বলেই দিয়েছেন আওয়ামী লীগে বিএনপি-জামায়াতের লোক দরকার নেই। এরা দলে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। আমিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একমত পোষণ করে শাহে আলম মুরাদ বলেন, বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের মানুষকে এখন আর শহর কেন্দ্রীক হতে হয় না। তারা গ্রাম-গঞ্জে বসেই ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদ সেবাকেন্দ্রে বসেই বিদ্যুৎ বিল, স্কুলের বেতন, বিদেশে যাবার জন্য ভিসা ও পাসপোর্ট-এর আবেদন, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন খুব সহজেই করতে পারছেন তারা। এ উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে অভিনন্দন জানান তিনি।
বিবার্তা/বশির/জাহিদ