রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্যই আ’লীগ ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতকে বাদ দেয়ার আহবান জানাচ্ছে। যদি কোনোভাবে জামায়াতকে জোট থেকে বাদ দেয়া হয়, তাহলে দেখবেন আওয়ামী লীগ তাদেরকে লুফে নেবে।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বিবার্তা২৪.নেট এর ডেপুটি চিফ রিপোর্টার রাজকুমার নন্দীকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জোটের শরিক জামায়াতের রাজনীতি, জনকল্যাণে লেবার পার্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ সম-সাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
বিবার্তা২৪.নেট : মানবতাবিরোধী অপরাধী মুজাহিদ ও সাকা দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের পরিবার বলছে-তারা প্রাণভিক্ষার কোনো আবেদন করেনি। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
ডা. ইরান : বিষয়টি সম্পর্কে সরকার এবং তাদের পরিবার বলতে পারবেন যে, ঘটনাটি আসলে কী? তারা ম্যাজিস্ট্রেট মারফত রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন- সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেয়ার পর আমরা উভয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের (সাকা-মুজাহিদ) সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে দেখেছি। সাক্ষাৎ শেষে তাদের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন যে, তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। আমাদের ধরে নিতে হবে যে, তাদের পরিবার যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলোই সত্য। কেননা, একজন মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কেউ-ই চাইবে না যে, তার নামে কোনো অপবাদ দেয়া হোক।
মানুষের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি করার জন্য সরকার ‘রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা’র বিষয়টিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়েছে, যাতে করে এই ব্যক্তিদের ব্যাপারে জনগণের যতটুকু আবেগ আছে সেখান থেকে তারা যেন আরও দূরে সরে যায়। ট্রাইব্যুনাল তাদের শাস্তি দিয়েছেন এবং সরকার সেই শাস্তি কার্যকর করেছে। সুতরাং আমি মনে করি না যে, মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে কোনো রাজনীতি করা উচিত।
বিবার্তা২৪.নেট : একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের একটি ‘বিতর্কিত’ ভূমিকা ছিল। কিন্তু দল হিসেবে জামায়াত আজ পর্যন্ত সেজন্য জাতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ভুল স্বীকার কিংবা কোনো ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। এরপরেও স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার থাকে কী?
ডা. ইরান : একটি সংগঠন মানে একটি নাম। সংগঠনের টোটাল দায়-দায়িত্ব বর্তায় তার নেতৃত্বের ওপরে। জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সময়ে (একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন) যে ভূমিকা ছিল তার সকল দায়-দায়িত্ব দলটির তখনকার নেতৃত্বের ওপর বর্তাবে। তাদেরকে তো সরকার আইনের মুখোমুখি করেছে, বিচার করেছে। এখন সরকার চাইলে জামায়াতের ব্যাপারেও যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে।
আমি মনে করি, সরকার এটিকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার জন্য একথাগুলোকে বার বার সামনে নিয়ে আসছে। অথচ, এই জামায়াতে ইসলামীর সাথে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব খুব পুরানো। আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত বন্ধু হচ্ছে জামায়াত।
১৯৮৬ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে যাননি। তখন চট্টগ্রামের এক জনসভায় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান। অথচ তৎকালীন সময়ে এই জামায়াতে ইসলামীকে সাথে নিয়ে, তাদেরকে প্ররোচিত করে এরশাদের অধীনে ছিয়াশির নির্বাচনে শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা আরো দেখেছি, ১৯৯৫-৯৬ সালে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জামায়াতকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনা এবং তার পাশে সাজেদা চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তোফায়েল আহমেদ থেকে শুরু করে শাজাহান খানসহ যারা আছেন তারা এক কাতারে থেকে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল করেছেন। এটি জনগণের কাছে পরিষ্কার।
আওয়ামী লীগ আজকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। একটি দলকে নিষিদ্ধ করা, অনুমোদন দেয়া কিংবা রেজিস্ট্রেশন দেয়া-এসবের দায়-দায়িত্ব সরকারের। এখন সরকার যদি মনে করে, জামায়াত অপরাধী দল, সেক্ষেত্রে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। এটা না করে আট বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ এই বিষয়টিকে বার বার সামনে নিয়ে আসছে। জামায়াত যদি অন্যায় করে থাকে এবং ট্রাইব্যুনালে তা প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা উচিত কিংবা সেটা করতে পারে রাষ্ট্র। কিন্তু এটা না করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য তারা বার বার বলছে, জামায়াতকে কেন ২০ দলীয় জোট থেকে বাদ দেয়া হয় না।
২০ দলীয় জোট যদি কোনোভাবে জামায়াতকে বাদ দিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ তাদেরকে লুফে নেবে। এটির প্রমাণ দেশবাসী বার বার দেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে, বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতা-কর্মীকে যেন আওয়ামী লীগে নেয়া না হয়। কারণ, যত অপকর্ম হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভাষায় সব অপকর্ম অনু্প্রবেশকারীরা করছে। এটি যদি সত্য হয়, তাহলে আমরা দেখেছি-স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাহবুব-উল আলম হানিফের এলাকা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অসংখ্য মন্ত্রী-এমপিদের কাছে ফুল দিয়ে জামায়াতের অনেক নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান করছে।
তারা একদিকে জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাইছে, আবার অন্যদিকে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের দলে নিচ্ছে। একইসঙ্গে ২০ দলীয় জোট থেকেও তাদের (জামায়াত) বের করে দিতে বলছে। আওয়ামী লীগ মূলত তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য একটি একদলীয় শাসন কায়েমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী শক্তি। এই শক্তিকে দুর্বল করার জন্য সরকার কথাগুলো বার বার সামনে নিয়ে আসছে।
বিবার্তা২৪.নেট : মন্ত্রী-এমপিরা বলছেন, বিএনপি জোটের বিগত আন্দোলনে জ্বালাও-পোড়াওয়ের জন্য বিচার হবে। জোটের একজন নেতা হিসেবে বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?
ডা. ইরান : ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আছি। বিগত কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া আমাদের রাজপথে থাকতে বলেছিলেন এবং আমরা আমাদের সীমিত শক্তি নিয়ে রাজপথে থাকার চেষ্টা করেছি। সেই আন্দোলন কর্মসূচিতে আমাদেরকে ঘায়েল করা ও আন্দোলন থেকে দূরে রাখার জন্য সরকার নিজেদের উদ্যোগে এবং তাদের ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে সারা দেশে পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও গুম করেছে।
বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মানুষ মারা যাওয়ার দৃশ্য দেশবাসী দেখেছে, সেখান থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্যই মূলত সরকার ২০ দলীয় জোটের ওপর এই পেট্রোল বোমা সন্ত্রাসের দোষারোপ করছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, এই পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস তাদের নিজেদের উদ্যোগে করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। দেশবাসী জানে, যেখানে এক একটি পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে তিনশ থেকে পাঁচশ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের লোকদের অত্যাচারে আজকে আমাদের নেতা-কর্মীরা যেখানে বাসা-বাড়িতে থাকতে পারেন না, সেখানে তারা কিভাবে এ সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত হবেন? সরকার মূলত বিরোধী দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য এই মিশন নিয়ে কাজ করছে। বিরোধী নেতৃত্বকে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আজকে নেতাদের বিরুদ্ধে পেট্রোল বোমার নামে মামলা দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি না যে, সরকার একাজে সফল হবে। বিরোধী দলকে নির্মূল করে অতীতেও কোনো সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না।
বিবার্তা২৪.নেট : ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপির অনেকে বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জোটের আর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই শরিক দলগুলোর এখন বিএনপিতে একীভূত হওয়া সময়ের দাবি। এই ব্যাপারটি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন?
ডা. ইরান : ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন। পরবর্তীতে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের হৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরঙ্কুশ করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ডেকেছিলেন। আমাদের প্রধান কর্মসূচি ছিল ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’। এই উদ্দেশ্যে ১৮ দলীয় জোট পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোটে পরিণত হয়। প্রধান লক্ষ্য ছিল-আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করা। কে বা কারা বলেছেন- জোটের প্রয়োজন নেই। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমি মনে করি না যে, ২০ দলীয় জোটের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। কারণ, যে উদ্দেশ্য নিয়ে জোট গঠিত হয়েছিল সেগুলো এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
চক্রান্তকারী শক্তি যারা জাতীয়তাবাদী শক্তির মাঝেও ঘাপটি মেরে আছে, তারাই মূলত জোটকে দুর্বল করা, জোটের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি এবং বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ় নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই কথাগুলোকে (বিএনপিতে একীভূত) সামনে নিয়ে আসছেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টি একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন। ১৯৭৮ সালে লেবার পার্টি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জোট জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে ছিল। তবে যখন এ প্রশ্ন সামনে চলে এসেছিল যে, একই চিন্তা-চেতনার কারণে জোটকে বিলুপ্ত করে একটি দল গঠন করা হবে, তখন আমরা দেখেছি- অনেক দল জিয়াউর রহমানের সাথে একীভূত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুধু মাওলানা মতিনের লেবার পার্টি তৎকালীন সময়েও জিয়াউর রহমানের সাথে জাতীয়তাবাদী দলে যাননি।
বর্তমানে আমরা যারা লেবার পার্টির সাথে আছি, আমরা মনে করি-কয়েকটি ইস্যুতে জোটবদ্ধ হয়েছি। বিএনপির শতভাগ নীতি-আদর্শের সাথে যেমন আমাদের মিল নেই, তেমনি আমাদেরও শতভাগ নীতি-আদর্শ ও কর্মসূচির সাথে বিএনপিরও মিল নেই। আমরা আমাদের দলে আছি, আমাদের দলে থাকব। শুধু ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির জন্য আমরা জোটে গিয়েছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আন্দোলন, সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো, নতুন দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী সরকার গঠন এবং সেখানে দলের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জোটে গিয়েছি। এর বাইরে আমাদের কোনো মিশন নেই।
বিবার্তা২৪.নেট : জনকল্যাণে বাংলাদেশ লেবার পার্টি কী করছে এবং ভবিষ্যতে কী করতে চায়?
ডা. ইরান : একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান উদ্দেশ্য-জনগণের কল্যাণ করা। একাজ ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক উদ্যোগে যতটা না করা সম্ভব, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে তার চেয়ে অনেক বেশি করা সম্ভব। একটি দল যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে না পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে তার পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারে না। লেবার পার্টিও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে। নিজেদের সংগঠিত করছে। আগামী দিনে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই সরকারেও আমাদের অংশিদারিত্ব থাকবে। এই চিন্তা-চেতনা নিয়ে আমরা বিএনপি জোটে আছি।
লেবার পার্টির চিন্তা-চেতনা অন্যান্য দলের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। দলটির স্লোগান হচ্ছে, ধর্ম-কর্ম-সাম্যবাদ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সুতরাং আমরা সাম্যবাদী চিন্তার আলোকে সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে এমন একটি সমাজ-রাষ্ট্র গড়তে চাই যেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বৈষম্য থাকবে না। আমরা মূলত এই কাজটিকে সামনে নিয়েই এগুচ্ছি। ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষের মাঝে যেতে হবে। জনগণের সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া যাবে না।
বিবার্তা/নন্দী/মহসিন.