জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চাটুকারদের লালন-পালনকারী বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য পদত্যাগকারী জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন রাজু।
তিনি বলেন, বর্তমানে জাতীয় পার্টি চাটুকারদের দখলে। এরশাদও চাটুকারদের নিয়ন্ত্রণে। তার সিদ্ধান্তের কোন মূল্য নেই।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলিস্তানস্থ নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিবার্তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চাটুকাররা সবাই কোটিপতি। চাটুকারদের সঙ্গে রয়েছে দলের মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু।
রাজু বলেন, দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের মূল্য নেই। চাটুকাররাই মূল্যায়িত হচ্ছে। আর প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাদের কদর। বাগিয়ে নিচ্ছে পদ-পদবি।
পৌরসভায় প্রার্থী খুঁজে না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অযথা টাকা কেউ নির্বাচনে খরচ করতে চায় না। মনোনয়ন পেতে চেয়ারম্যানকে আলাদা টোকেন মানি দিতে হয়। আবার মনোয়ন কিনতে দিতে হয় ১০ হাজার। বিগত উপজেলা ও সিটি করপোরশন নির্বাচন কেমন হয়েছে তা দেখেছেন। এ কারণে জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী পৌর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এরশাদের দূরত্ব রয়েছে। কারণ চাটুকাররা তাদের চেয়ারম্যানদের কাছে ঘেঁষতে দেয় না। তারা এরশাদকে ঘিরে রাখে।
রাজু বলেন, অনেক কেন্দ্রীয় নেতা আছেন যারা পদে আছে কাজে নেই। এদের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে চাটুকাররা দল চালাচ্ছে। তাজ রহমান, আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ অনেকে রয়েছেন চাটুকারদের তালিকায়। এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে এ চাটুকারদের দেখা যায়নি বলেও জানান তিনি।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাপার গঠনতন্ত্রে এ ধরণের কোন পদ নেই। অথচ তিনি এরশাদের আর্শিবাদপুষ্ট হওয়ায় তিনি নিজেই নিজের জন্য এ পদ সৃষ্টি করেছেন।
জাতীয় পার্টি বিরোধী দল না সরকারি দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেগম রওশন বিরোধী দলে আর চাটুকারদের নিয়ে এরশাদ সরকারি দলে। তারা মন্ত্রীত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেও মন্ত্রীত্ব ছাড়বে না।
জাতীয় পার্টি বিএনপিতে যোগ দিচ্ছে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরশাদ সে পর্যন্ত বেঁচে থাকুক, তখন দেখা যাবে।
তিনি বলেন, আমি পদ ছেড়েছি। দল ছাড়িনি। এরশাদের আদর্শ মেনে লাঙ্গলের পক্ষে আছি।
বিবার্তা//বশির//মাজহার