ফারজানা রিক্তা। তার চেহারা অনেকটাই কলকাতার রচনা ব্যানার্জীর মতো। মুখের আদল-শারীরিক গঠন সবকিছুই। অনেকেই তালগোল পাকিয়ে ফেললেন তাকে দেখে। যেমন তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন নায়ক রাজ রাজ্জাক।
রিক্তা আর রাজ্জাকের দেখা হয়েছিলো এফডিসিতে। তাকে দেখে নায়ক রাজ বললেন, কিরে কখন এলি কলকাতা থেকে, ফোন করলি না, বাসায়ও গেলি না, কি ব্যাপার? সে দিন অবাক হয়ে গিয়েছিলেন রিক্তা! আমি কলকাতায় কবে গেলাম স্যার! নায়ক রাজ পরে বুঝলেন এটা কলকাতার রচনা নয় বাংলার রিক্তা!
বলছি কার্তুজ ছবির নায়িকা রিক্তার কথা। বড় পর্দায় অভিষেক হওয়া রিক্তার শুরুটা হয়েছিলো ২০১০ সালে গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার মধ্যে দিয়ে। ১ বছরের বেশি সময় ধরে করেছেন বিজ্ঞাপনের কাজ। পরবর্তীতে কাজ করেন ধারাবাহিক নাটক ক্ষনিকালয়ে। এই নাটকে দারুণ পরিচিতি এনে দেয় রিক্তার। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সমান তালে অভিনয় করছেন ধারাবাহিক, টেলিফিল্ম ও প্যাকেজ নাটকে।
বর্তমানে তার অভিনীত মেগা সিরিয়াল ‘খুঁজে ফিরি তাকে’ প্রচারিত হচ্ছে দীপ্ত টেলিভিশনে। এশিয়ান টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে অন্য ধারাবাহিক ‘তুই যে আমার’। এ সময়ের অভিনেত্রী রিক্তা জানালেন দুটি নাটক থেকেই দারুণ সাড়া পাচ্ছি। প্রচুর প্রসংসা পাচ্ছি দর্শকের কাছ থেকে।
এক ঘণ্টার নাটকের প্রসঙ্গ আসতেই রিক্তা বললেন, কিছুদিন খুব বেশি বিজি ছিলাম। এই সময়ে ধারাবাহিকের পাশাপাশি কয়েকটি টেলিফিল্ম ও এক ঘণ্টার নাটকে কাজ করেছি। অচিরেই এগুলি বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
বড় পর্দায় অভিষেকের কথা জানতে চাইলে রিক্তা বলেন, রাজ্জাক স্যার আমাকে দেখে প্রথম রচনা দিদি বলে ভুল করেছিলেন। পরে যখন উনি নতুন ছবির কাজ শুরু করেন তখন সাংবাদিক অভি মঈনউদ্দীনের কাছে বলেছিলেন একটা মেয়েকে দেখেছিলাম যাকে অনেকটা রচনার মতো দেখায়। সেই মেয়েটাকে পেলে ভালো হতো। সবাই বলে আমাকে নাকি রচনা ব্যানার্জীর মতো দেখায় (হাসি)।
অভি ভাইও তাই বুঝতে পারলেন নিশ্চয় আমার কথা বলছেন। এভাবেই শুরু। অভি ভাইয়ের অবদান ভোলার নয়। যখন কেউ আপনাকে রচনা বলে আখ্যায়িত করে তখন কেমন লাগে। এমন প্রশ্নে বিনয়ী হলেন রিক্ত। আসলে দিদি তো অনেক বড় মাপের অভিনেত্রী। তার সঙ্গে আমার তুলনা করাই বোকামী। তবে শুনতে খারাপ লাগে না। আগামীতে বড় পর্দায় দেখা যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন নয় ভালো গল্প পেলে অবশ্যই চলচ্চিত্রে নিয়মিত হবো। সিনেমায় যখন নেমেছি পিছিয়ে থাকার মানে হয় না।
অসংখ্য নাটকের মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু নাটকের নাম জানতে চাইলে একটু সময় নিলেন রিক্তা। তারপর বললেন, আসলে নিজের কাজকে আলাদা করা কঠিন। তবে বিভিন্ন কারণে বেশ কটা নাটকের নাম মনে রয়েছে। যেমনঃ ক্ষনিকালয়, শেয়ারবাজার ডটকম, স্বপ্নের কাছাকাছি, খুঁজে ফিরি তাকে, তুই যে আমার ইত্যাদি।
রিক্তার অবসর কিভাবে কাটে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবসর খুব একটা পাই না। পেলে ঘুমাই। বাকি সময়টা পরিবারের জন্য বরাদ্দ। ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গ আসতেই রিক্তার সহজ উত্তর, সবে জীবনের ভোর বেলা চলছে। অনেক অনেক ভালো কাজ করতে চাই। ভালো কাজ করার মজাই আলাদা।
বিবার্তা//নাহিদ//মাজহার