এটা সরকারের রাস্তা। সরকার তার সুবিধা অনুযায়ী কাজ করছে। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হস্তক্ষেপ করার প্রশ্নই ওঠে না। বরং এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধার চেয়ে সুবিধাই হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
ঢাবি উপাচার্যের সাথে বিবার্তা২৪.নেট এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আধুনিকতার স্পর্শ যেখানে পৌঁছাতে শুরু করছে, সেখানে পেছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজনই হয় না। বাংলাদেশ যে উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে তার প্রমাণ এই মেট্রোরেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের সুবিধা ও তাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই এই মেট্রোরেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
তিনি বলেন, এটি শাহবাগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় প্রবেশ করবে। এবং বাংলা একাডেমির সামনে দিয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে বেরিয়ে যাবে। মাঝে একটি স্টপেজ থাকবে বাংলা একাডেমির সামনে। প্রায় ৪০ ফুট উপর দিয়ে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলাচল করবে। ফলে শিক্ষার্থীদের কোন অসুবিধাই হবে না। আর মেট্রোরেলের শব্দ খুবই নিম্ন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত কোন শব্দ দূষণও হবে না।
কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থী ও কিছু বাম সংগঠনের নেতারা বলছে এটির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো ঐতিহ্য ধ্বংসের মুখে নিমজ্জিত হবে। তাদের বক্তব্য আপনি কিভাবে দেখছেন? জবাবে তিনি বলেন, সরকার তাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে। এটির ভাল-মন্দ আগেই ভেবে তারা এ কাজে নেমেছেন। ফলে এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ঐতিহ্যের ক্ষতি হোক তারাও চায় না। আর সে দিক বিবেচনা করেই তারা কাজ করবে।
বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর মেট্রোরেল হোক। কিন্তু বাংলাদেশে তার উল্টো। জাপানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে বাড়ির গা ঘেঁষে চলাচল করছে এই মেট্রোরেল।
উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের অনেক ছাত্র আছে যারা গুলশান, উত্তরায় বাসায় গিয়ে টিউশনি করতে যায়। ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে মেট্রোরেলের রুট হলে এসকল শিক্ষার্থীদের অসুবিধার চেয়ে সুবিধেই হবে। জ্যামে পড়ে থাকার চেয়ে মেট্রোরেলের সহায়তায় ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে তারা সেখানে পৌঁছাতে পারবে।
বিবার্তা//রেজা//মাজহার