কেনাকাটা, রেস্তোরা, বিনোদনকেন্দ্র যেখানেই যান টিভি দর্শকেরা তার দিকে তাকিয়ে থাকেন। কেউ বলেন মেয়েটিকে চেনা চেনা লাগছে। কেউ এসে জানতে চান আচ্ছা আপু আপনি কি অভিনয় করেন? আবার কেউ এসে বলেন, আরে আপনি পালকি না! পালকি হেসে উত্তর দেন জী হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন।
বলছিলাম দীপ্ত বাংলা টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয় পালকি সিরিয়ালের নায়িকা পালকির কথা। জনপ্রিয় এই সিরিয়ালের নায়িকা পালকির আসল নাম স্নিগ্ধা মোমিন। ছোট্টবেলা টিভিতে অভিনয় করা সেই স্নিগ্ধার আসল নামটি এখন হারিয়ে যাচ্ছে পালকির মাঝে। নতুন প্রজন্মের এই নায়িকা সম্প্রতি তার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেন বিবার্তা প্রতিবেদক মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদের সঙ্গে । পাঠকদের জন্য তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
বিবার্তা : কেমন আছেন ?
স্নিগ্ধা : জি ভালো। অভিনয়ে অভিনয়ে বেলা চলে যাচ্ছে।
বিবার্তা : পালকির কী খবর, সবকিছু ঠিক মতো চলছে তো ?
স্নিগ্ধা : হ্যাঁ সবকিছু ঠিকঠাকই চলছে। মাসে ২৫ দিন বা ২৬ দিন পালকি ধারাবাহিকের শুটিং থাকে। যে কারণে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু ক্লান্তি আসে না। আসলে আমি পালকি চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। যে কারণে কষ্ট হয় না। কিছু মন থেকে করলে সম্ভবত এমনই হয়।
বিবার্তা : পালকির ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে স্নিগ্ধা। সবাই যখন পালকি নামে ডাকে তখন কেমন লাগে ?
স্নিগ্ধা : সত্যি কথা বলতে কি, এই ধারাবাহিকটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকে সবাই আমাকে পালকি ডাকা শুরু করেছে। শপিং, রেস্তোরা, বিনোদনকেন্দ্র যেখানেই যাই সবাই আমাকে এ নামেই ডাকে। আগ্রহ নিয়ে কথা বলে সেলফি তুলতে চায়, সবকিছু মিলে খারাপ লাগে না। পালকির মধ্যেই আমার আসল নামটি হারাতে বসেছে। এই ধারাবাহিকটির শুটিংয়ের সময়ই বুঝেছিলাম এটা জনপ্রিয়তা পাবে। বাস্তবেও তাই ফলেছে।
বিবার্তা : পালকির এখন কী অবস্থা, নাটকের মোড় কোন দিকে যাবে ?
স্নিগ্ধা : যারা পালকির সঙ্গে আছেন সবাই জানেন পালকি এখন কোন অবস্থায় আছে। নাটকের মোড় কোন দিকে যাবে সেটা বলে দিলে তো দর্শকের আগ্রহ কমে যাবে। (হাসি) তবে এতটুকু বলতে পারি পালকিতে একটা সুন্দর গল্প রয়েছে। ফলে ছন্দপতন হওয়ার ভয় নেই। পালকির মতো এগিয়ে যাচ্ছে পালকি।
বিবার্তা : এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। কীভাবে নাটকের মানুষ হয়ে উঠলেন ?
স্নিগ্ধা : ছোট বেলায় নাচের প্রতি ঝোঁক ছিলো। টিভিতে কাউকে নাচতে দেখলে তার সঙ্গে আমিও শুরু করতাম। মা ইচ্ছের মূল্য দিলেন। ভর্তি করে দিলেন নাচের স্কুলে। তারপর অভিনয় শুরু করি। সেটা ছিলো শখের বশে। প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই বুবুনের বাবা নাটকে। এরপরে আরো কিছু কাজ করেছি। পড়াশোনার কারণে সেটা নিয়মিত ছিলো না। তারপর ২০০৮ সালে অংশগ্রহণ করি লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায়। সেরা দশে ঠাই না পেয়ে মন খারাপ হয়। এরপর রেডিও চকলেট, নারী , চলিতেছে সার্কাসসহ আরো কিছু নাটকে অভিনয় করি। পরে পালকির অফার আসে। হাতে অফুরন্ত সময় থাকায় রাজি হয়ে যেই। সেই থেকে চলছে।
বিবার্তা : অবসর পেলে কী করেন?
স্নিগ্ধা : এখন অবসর খুব একটা পাই না। সব নিয়ে যাচ্ছে পালকি। এর মধ্যে সময় পেলে সিরিয়াল দেখি। গান শুনি। বাকিটা সময় বাসায় থাকি। সবার সঙ্গে দারুণ সময় কেটে যায়।
বিবার্তা : ছোট পর্দায় এখন আপনি পরিচিত মুখ। ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী, বড় পর্দায় আসবেন কি?
স্নিগ্ধা : আমি অভিনয় ভালোবাসি। সে জন্য ছোট পর্দা বা বড় পর্দা বলে কথা নেই, ভালো কিছু পেলেই কাজ করবো। আমি অভিনয় করতে চাই।
বিবার্তা/নাহিদ/মহসিন