মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। কম্পিউটারে বাংলা লেখার সফটওয়্যার ও বিজয় সফটওয়্যারের নির্মাতা। লিখেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কম্পিউটার শেখার বই। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার পথিকৃৎ এই প্রযুক্তিবিদ ১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করে আসছেন।
আগামী ২৫ জুন সফটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০১৬-১৯ সেশনের নির্বাচনে একটা প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। গত মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে সার্কুলার রোডে আনন্দ কম্পিউটারস অফিসে বেসিস নির্বাচনের হালচাল নিয়ে তার সঙ্গে বিবার্তা২৪.নেটের এই প্রতিবেদকের কথা হয়। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন বিবার্তা২৪.নেটের প্রতিবেদক উজ্জ্বল এ গমেজ।
বিবার্তা২৪.নেট: এবারের নির্বাচন বেসিসের গতিশীলতার জন্য কেন জরুরি?
মোস্তাফা জব্বার: প্রথমত হচ্ছে নির্বাচন একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বেসিসের ক্ষেত্রে একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে এই কারণে যে, আমরা যে সময়টা এখন অতিক্রম করছি এ সময়টা পুরো দেশের জন্যই জরুরি। আমরা ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাথমিক কাজগুলো বেশ শক্তভাবেই করে ফেলেছি। এখন যদি সঠিক নেতৃত্ব না থাকে তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটা যে গতিতে যাওয়ার কথা সেই গতিতে যাবে না। অতএব এই জায়গাতে যোগ্য নেতা আসাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, বেসিস দেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যসংগঠন। তাই এই সংগঠনে সঠিক নেতৃত্ব থাকাটা জরুরি। তবে ভোটাররাই সঠিক নেতৃত্ব বাছাই করবে।
বিবার্তা২৪.নেট: নির্বাচন নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
মোস্তাফা জব্বার: বেসিসের জন্মের সাথে আমি যুক্ত। যারা এই সংগঠনটি জন্ম দিয়েছেন তাদের মধ্যে আমিও একজন। বেসিসের আমি এক নম্বর সদস্য। বেসিসের জন্মের আগে যে প্রক্রিয়াটা ছিল সে প্রক্রিয়াটার সাথেও আমি যুক্ত। বেসিস জন্ম হয়েছে জামিলুর রেজা চৌধুরী কমিটি নামক একটা কমিটিতে ৪৫টা সুপারিশ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের আগে আমলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল সে কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছিল সফটওয়্যার সেবা খাতের জন্য একটিা আলাদা বাণিজ্যসংগঠন গড়ে তোলার। এটা আমরা ১৯৯৭ সালে সরকারের কাছে পেশ করেছিলাম। ওই সুপারিশটা বাস্তবায়ন করার জন্য ১৯৯৭ সালের শেষের দিকে আমরা উদ্যোগটা গ্রহণ করি এবং ১৯৯৮ সালে বেসিসের জন্ম হয়।
আমি ঘটনাচক্রে সে সময় কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ছিলাম। বাণিজ্য সংগঠনের নিয়মানুসারে যদি একই খাতের অন্য কোনো সংগঠন থাকে নতুন সংগঠন জন্ম নিতে পারে না। তখন ওই সংগঠনের ক্লিয়ারেন্স নেয়ার দায়িত্বটা আমরা নিই। আমরা কম্পিউটার সমিতির পক্ষ থেকে বেসিস গঠন করার পক্ষে কাজ করেছি যার ফলে বেসিসের জন্ম হয়। বাংলাদেশে কম্পিউটার সমিতি যদি আপত্তি করতো তাহলে বেসিসের জন্ম হতো না।
সেই থেকে আমি বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি। তৌফিক ভাই সভাপতি ছিলেন, তার সাথে কাজ করেছি। ২০০৩-০৪ সময়েও পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। পরবর্তীকালে বেসিসের যে সমস্ত কর্মকাণ্ড ছিল যেমন-ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বেসিসের সেমিনার, সব জায়গায় আমরা অংশগ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নেতৃত্বে বাংলাদেশের কম্পিউটারের উপরে শুল্ক এবং ভ্যাট প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়েছিল। সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করলে বেসিসের পক্ষেও করা সম্ভব।
এখন যেটা দাঁড়িয়েছে সেটা হলো, বেসিস ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে ১৯৯৮ সাল থেকে। এখন এই ধারাবাহিকতার মধ্যে সবাই যে শতভাগ সুক্ষ্ম কাজ করেছেন সেটা নাও হতে পারে। আমরা মানুষ। আমাদের ছোটখাটো ভুলত্রুটি হতে পারে। আমাদের ভাবনা-চিন্তায় ভুলত্রুটি হতে পারে, আমাদের পলিসিতে ভুলত্রুটি হতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি ১৯৯৮ সালে আমরা যে বেসিসের জন্ম দিয়েছিলাম, এই ১৮ বছরের পথে সকলের সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা যে অবস্থানটা করতে পেরেছি সেটা হলো বেসিস এখন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য সংগঠন। এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকার করে, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ স্বীকার করে। এটাকে আমি মনে করি বড় অর্জন।
বেসিস কতগুলো লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এর সব চেয়ে বড় যে লক্ষ্য সেটা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং এই কারণে বেসিসের এসব ক্ষেত্রে কাজ করা উচিৎ। কম্পিউটারের ডিজিটাল রুপান্তর, মানবসম্পদ তৈরি এবং অন্য যেসব সচেতনতা তৈরি এই কাজগুলো বেসিস করছে।
এই সময়ের ভেতরে আমার যেটা মনে হয়েছে যে একটা জায়গায় আমরা গুরুত্ব দিতে পারি নাই। সেই জায়গাটা হচ্ছে আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজার। আমার নিজের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বাজারটাকে আমরা সেভাবে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারি নাই। আমাদের দেশে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে তথ্যপ্রযুক্তির কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিদেশি কম্পানিগুলো করছে। আমরা আমাদের দেশীয় কম্পানি দিয়ে কাজগুলো করাচ্ছি না। এটা নানা কারণে হতে পারে। একটি কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে যে এ বিষয়টাকে নিয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি না। আমরা যদি গুরুত্ব দিয়ে দেখতাম। তাহলে বেসিসের সদস্যদের যে সক্ষমতা আছে তা বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। আমরা যদি এখন একটা জায়গায় দাঁড়াই যে সরকার যে কাজ করবে সে কাজগুলো বেসিসের সদস্যদের দেয়া হোক। তাহলে আমি বলবো যে দেশের অভ্যন্তরীণ বিশাল একটা বাজার বেসিস সদস্যদের জন্য হয়ে যাবে। বেসিসের বাইরেও যারা সফটওয়ার ডেভলপার রয়েছে তারাও অনেক উপকৃত হবে।
আমার আরেক জায়গায় মনে হয়েছে যে, বেসিস প্রকৃত অর্থে একটা মেধাভিত্তিক শিল্প। এই মেধাভিত্তিক শিল্পে মেধা তৈরি করা, মেধার বিকাশ করা এবং মেধা রক্ষা করা এই জায়গায়টার মধ্যে অবশ্যই গুরুত্ব আরোপ করা দরকার।
আরেকটি বিষয় যে বাংলাদেশের বহু বড় প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো বিদেশের বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করতে পারে। অথচ আমরা দেশের যে বড় বড় প্রজেক্ট আছে সেই প্রজেক্টে অংশ নিতে পারি না। আমি মনে করি যে এটি একটি নীতিগত পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে।
বিবার্তা২৪.নেট: আপনি তো বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বর্তমান কমিটিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মোস্তাফা জব্বার: সব কাজ সফলতার সাথে করছে শতভাগ এটা কেউ দাবি করে না। করাও উচিৎ না। আমি বলবো বিশেষ করে এই যে টিমটা কাজ করে আসছে, এরা হঠাৎ এসে কাজ শুরু করে নাই। একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে তারা এখানে এসেছে। তবে বেসিস মেম্বার প্রত্যেকের কাছে এটা স্পষ্ট যে, কয়েক বছরের মধ্যে এখন বেসিসের দৃশ্যমান যে উপস্থিতি তা অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। আগে বেসিসকে যতটা দেখা যেত তার চাইতে অনেক বড় করে দেখার পরিস্থিতি হয়েছে।
বিবার্তা২৪.নেট: আপনার প্যানেলের সদস্যদের কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মোস্তাফা জব্বার: আমি যে প্যানেলটার নেতৃত্ব দিচ্ছি এই প্যানেলের চরিত্রটা হচ্ছে এ রকম যে, বর্তমানে যারা বেসিস পরিচালনা করছে তাদের চারজন এখানে আছে। এই চারজনেরই কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তাদেরকে রাখাটা হচ্ছে একটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। বর্তমান বেসিসে যে কাজগুলো আছে সেই কাজগুলো তাদের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পৃক্ত করে আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো।
দ্বিতীয়ত বেসিসের বিশাল কর্মযজ্ঞ এবং মেম্বারদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজন টিমওয়ার্ক। সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে, আমার ২৯ বছরের অভিজ্ঞতা এবং এই শিল্পের মূলধারার সাথে সংশ্লিষ্ট নতুন ও পুরনো সহযোদ্ধাদের সাথে পরামর্শ ও সমর্থন নিয়ে আমি একটি প্যানেল তৈরি করেছি। বেসিসের কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড করার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ নতুন এই প্যানেলে নতুন মুখের পাশাপাশি বর্তমান এবং পূর্ববর্তী বোর্ডে কাজ করার অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে এই প্যানেলে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা একটা ব্যালেন্সড টিম।
অভিজ্ঞতা, প্রাজ্ঞ নবীণতা এসব কিছু মিলিয়ে একটা সমন্বয় সাধন করার মতো একটা টিম আমরা গঠন করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই টিম যেভাবে পারফর্ম করতে পারবে এটা বেসিসের জন্য অনেক সহায়ক হবে।
বিবার্তা২৪.নেট: আপনি নির্বাচিত হলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?
মোস্তাফা জব্বার: দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা ২৯ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে আমি সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও খাত নিয়ে কাজ করেছি। এটা আমার স্বপ্নের বিষয়, এটা আমার যুদ্ধ করার ক্ষেত্র, এটা আমার পরিশ্রমের ক্ষেত্র, এটা আমার নেশা, এটা আমার পেশা। এটাকে উন্নয়নের জন্য যা যা করণীয় সবই আমি করে এসছি। বাংলাদেশে সফটওয়্যার দিনকালকে যদি বোঝানো হয় তাহলে আমি এই সফওয়্যার কাকে বলে এই জিনিসটি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যদি বলা হয় সফটওয়্যার মেধাসম্পদ তাকেও প্রমাণ কারার সেই জায়গাটা তৈরি করতে কাজ করেছি।
আমি মনে করি যে যেমনি করে আমার যে সফটওয়্যার তেমনি করে বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের মেধাসম্পদ মেধা বিকাশ করার জন্য একটি সচেতনতা তৈরি করা জন্য, একটি প্রণোদনা তৈরি করা এবং সাধারণভাবে এটিকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার তা সবই করেছি।
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে বিদেশ থেকে শত শত কোটি টাকার সফটওয়্যার বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার কেনা হয় না। আপনি জেনে অবাক হবেন যে বিদেশ থেকে একশ কোটি টাকা দিয়ে সফটওয়্যার কেনা হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশে তৈরি সফটওয়্যার ১০ কোটি টাকা দিয়েও কিনতে তারা রাজি হয় না। আমি এই জায়গাটার মধ্যে ফোকাস করতে চাই যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা ভাল। আমাদের উপর নির্ভর করা যায়। এদেশের প্রয়োজনটা আমরা যেভাবে বুঝি সেভাবে পৃথিবীর আর কোন দেশই এভাবে উপলব্ধি করবে না।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে বাংলাদেশি সফটওয়্যার সেবা, এই জায়গাটিতে যেন আমরা ফোকাস করতে পারি। দ্বিতীয় যে বিষয়টিকে নিয়ে আমি কাজ করতে চাই সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের ডিজিটাল শিক্ষার রূপান্তর। আমি মনে করি যে শিক্ষার দুটা ধারা। একটা হচ্ছে আমি কেমন করে শিক্ষা দেব, কি বিষয়ে শিক্ষা দেব। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দক্ষ মানুষ তৈরি করা। আমার দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদই হচ্ছে মানুষ। মানুষকে যদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া যায়, শিক্ষাব্যবস্থাকে ডিজিটালে রুপান্তর করতে পারি তাহলে আমি বাংলাদেশে একটা নতুন চিত্র দেখতে পাবো। আমি বাংলাদেশের এই নতুন চিত্রটাই দেখতে চাই। কাজেই এই দুটো ক্ষেত্রে বিরাট অগ্রগতির সম্ভাবনা আছে।
আরেকটি জায়গায় আমি কাজ করতে চাই সেটা হলো সরকারের রূপান্তর। ইতোমধ্যেই রূপান্তরের বেশ কিছু কাজ করেছি। সরকারের কানেক্টিভিটিগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবার বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। কিন্তু এগুলো সূচনা মাত্র। সম্পূর্ণ সরকারব্যবস্থাটাকে ডিজিটাল করতে চাই। আমি এই লড়াইটা আমি করে আসছি। এই লড়াইটা আমি আবার শুরু করবো। বেসিসকে আমি এই লড়াইয়ের প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করবো।
বিবার্তা২৪.নেট: বেসিস ভোটারদের কাছে আপনার বিশেষ কোন বার্তা রয়েছে কিনা?
মোস্তাফা জব্বার: আমি মনে করি বেসিসের মেম্বাররা অত্যন্ত প্রাজ্ঞ। তারা লড়াই করা মানুষ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সহযোদ্ধা হিসেবে তারা যে সুন্দর উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন এটা আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাদের যেটি দরকার সেটা হচ্ছে এক ধরনের অভিভাবকত্ব। এক ধরনের পরামর্শ সেবার দরকার। একধরনের সহায়তার দরকার। প্রণোদনার দরকার। এবং যেসব জায়গাতে তারা প্রতিবন্ধকতাগুলো ফেস করে সেই সব প্রতিবন্ধকতা দূর করা দরকার। তাই বেসিস ভোটারদের কাছে আমি বলতে চাই, ব্যক্তি কোনদিন এককভাবে সফল হতে পারে না, টিম নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই দেশের সফওয়্যার শিল্পে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য বেসিস মেম্বররা যাতে আমার টিমকে ভোট দেয়।
বিবার্তা২৪.নেট: আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য বিবার্তা২৪.নেট পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
মোস্তাফা জব্বার: আপনাদের অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে আমার সাক্ষাতকার পাঠকদের কাছে তুলে ধরার জন্য আপনাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ।
বিবার্তা/উজ্জ্বল/রয়েল