মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকেই ব্যবসা করছেন। অন্তরে মুক্তিযুদ্ধের ন্যূনতম চেতনা নেই; অথচ মুক্তিযুদ্ধের তকমা এঁটে অনেকেই বড় বড় বুলি আওড়ান। বুলি-সর্বস্ব এ-রকম পোশাকি মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। এদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ নিছক একটি পণ্য। এ ‘পণ্যের’ যথেচ্ছ ব্যবহার করে এরা জাতে ওঠার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাস ও চেতনার সোল এজেন্ট সেজে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজেকে জাহির করতে ব্যস্ত। বাস্তবে এদের অন্তরে মুক্তিযুদ্ধ নেই, নেই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও বিশ্বাস।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একশ্রেণির সুবিধালোভী মানুষের এই যখন অবস্থা, তখন দেশের অন্যতম প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘গতিধারা’র নিঃস্বার্থ ভূমিকায় আমরা হই বিস্মিত ও হতবাক। গতিধারা আমাদের প্রকাশনাশিল্পে এক নবতর বাঁকের পুরোধা। আমাদের প্রকাশনাশিল্পের অবস্থা এমনিতেই নাজুক। গভীর চিন্তা-নির্ভর ভালোমানের বই প্রকাশ করেও অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আজ ধুঁকে ধুঁকে মরছে। চটুল এবং বাজারি সাহিত্যের বই প্রকাশ করে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাহ্যিক রমরমা-ভাব ধরে রাখলেও তাদের অবস্থাও যে খুব ভালো সেটি জোর দিয়ে বলা যাবে না। মৌলিক বই প্রকাশ করে এই প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই কষ্টসাধ্য। গত ক’বছরে একশ্রেণির ভূইফোঁড় প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠেছে যারা নবীন লিখিয়েদের পটিয়ে তাদের অখাদ্য বই প্রকাশ করে লেখকের কাছ থেকে টু-পাইস কামিয়ে নিচ্ছে। এ-রকম পরাবাস্তবতায় গতিধারা এখনও মৌলিকত্বের গতিকে সচল রাখতে প্রাণপণ খেটে যাচ্ছে বললে অত্যুক্তি করা হবে না।
গতিধারার স্বত্ত্বাধিকারী সিকদার আবুল বাশার একজন প্রবল প্রাণপ্রাচুর্যসম্পন্ন পরিচ্ছন্ন মানুষ। তার সাথে আমার পরিচয় খুব বেশিদিনের নয়। ৬৪ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থাকারে প্রকাশের মহতী চিন্তার ধারক সিকদার আবুল বাশার। নামটি অনেক আগে থেকেই জানা থাকলেও তার সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল না। পরিচিত হবার একটা প্রবল আগ্রহ মনে মনে পোষণ করলেও সেটি সহসা হয়ে ওঠেনি। কিশোরগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আমি যখন গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করে এনেছি, ঠিক তখনই আমি তার শরণাপন্ন হবার সিদ্ধান্ত নিই। এটি ২০১০ সালের কথা। কিন্তু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেও তার কাছে যাবার আগ্রহ আমি হারিয়ে ফেলি।
বাংলা একাডেমির বইমেলায় গতিধারার স্টলে যখন দেখতে পেলাম ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ গ্রন্থের একটি মুদ্রিত প্রচ্ছদ স্টলের সামনে ডিসপ্লে করা হয়েছে এবং সেটির লেখক কিশোরগঞ্জের একজন স্বঘোষিত বহুমাত্রিক (!) লেখক, তখন সিকদার আবুল বাশারের সাথে আমার দেখা করার আগ্রহ আর থাকে না। কারণ তার সাথে দেখা করার মূল উদ্দেশ্যই ছিল আমার পাণ্ডুলিপিটি তাকে হস্তান্তর করা। যেহেতু তিনি অন্য লেখকের পাণ্ডুলিপি পেয়ে গেছেন এবং সেটিই প্রকাশ করার প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে আগাম প্রচ্ছদ ছেপে ফেলেছেন, সেহেতু তার সাথে দেখা করাটা অর্থহীন। আমার ভেতরে একটা প্রচণ্ড জেদ চেপে যায়। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে জেলার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছি, অথচ আমার বই বেরুবে না বেরুবে এমন একজনের বই যে কিনা উদ্ভট তথ্য ও তত্ত্বের জগাখিচুরি পাকিয়ে সাহিত্যচর্চার নামে বাজারি সাহিত্যের আড়তদারি করছে! এটি হতে পারে না। গতিধারার আগেই আমার লেখা ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ প্রকাশ করার জন্য সেদিন থেকেই আমি মরিয়া হয়ে উঠি।
আমার পাণ্ডুলিপিটি যেহেতু আগে থেকেই গোছানো ছিল সেহেতু কালবিলম্ব না করে অন্য একটি প্রকাশনার মাধ্যমে তড়িঘড়ি বইটি প্রকাশ করে ফেলি। বাংলা একাডেমির বইমেলা শুরু হওয়ার অনেক আগেই আমার বই বাজারে এসে যায়। পাঠকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়াও পেলাম। বইমেলা শুরু হবার আগেই আমার বেশিরভাগ বই বিক্রি হয়ে যায়। ২০১১ সালের বইমেলায় বাংলা একাডেমির বইমেলায় আমার প্রকাশকের স্টলেও বইয়ের কাটতি ছিল উল্লেখ করার মতো।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বইমেলায় যাব বলে বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। নরসিংদী পার হতেই আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। রিসিভ করতেই কবি আশরাফুল মোসাদ্দেক-এর কণ্ঠ ভেসে এলো। কুশল বিনিময়ের পর তিনি সিকদার আবুল বাশারের সাথে আমাকে দেখা করার অনুরোধ জানালেন। বাশার ভাই-ই নাকি আমাকে দেখা করতে বলেছেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি এ-ও জানালেন, কিশোরগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাণ্ডুলিপিটি তিনি (বাশার ভাই) যার কাছ থেকে পেয়েছেন সেটি নাকি প্রকাশযোগ্য নয়। সেই তথাকথিত বহুমাত্রিক (!) লেখক নাকি বাশার ভাইয়ের কাছে আমার সম্পর্কে অনেক বাজে মন্তব্য করেছে। এমনকি আমি নাকি কিশোরগঞ্জ জেলা জামাতের সক্রিয় কর্মী এবং একজন কুখ্যাত রাজাকারের সন্তান। ইত্যাদি কথা বলে সেই ‘লেখক’ আমার সম্পর্কে বাশার ভাইকে বিভ্রান্ত করেছে। আশরাফুল মোসাদ্দেক আমাকে আগে থেকেই চেনেন। সেই সত্তর দশকে গুরুদয়াল কলেজে পড়ার সময় থেকে তিনি আমার লেখালেখি এবং রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল। তিনি আমার সম্পর্কে বাশার ভাইয়ের ভুল ধারণা এবং যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করেছেন বলে আমাকে জানালেন।
পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগ করার মতো কোনো ছাত্র-তরুণ খুঁজে পাওয়া যেত না। ১৯৭৬ সালে সামরিক শাসন অধ্যুষিত এ শহরে একুশে ফেব্র“য়ারি উদযাপনের জন্য কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন এবং মুজিব-অনুসারি ব্যক্তিরা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ প্রভাতফেরির আয়োজন করেছিল। বঙ্গবন্ধু-ভক্ত একজন তরুণ ছাত্রকর্মী হিসেবে সেই প্রভাতফেরি বাস্তবায়নে যেভাবে উদয়াস্ত পরিশ্রম করেছি তার অনেক সাক্ষী এখনও জীবিত আছেন। বন্ধু ছাত্রনেতা পারভেজ মোস্তফা কামালসহ আমরা ৫-৬জন তরুণ ছাত্রকর্মী সেদিন বঙ্গবন্ধুর প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির হাল ধরেছিলাম। তার উপর আমার পিতা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়ে হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে শহিদ হয়েছেন। তার শহিদ হওয়ার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও আমাদের হাতে রয়েছে। চরম প্রতিকূল দিনেও আপাদমস্তক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বয়ে বেরিয়েছি। সেই আমাকে হেয় করার জন্য কিশোরগঞ্জের লেখক নামের একজন তথাকথিত ব্যক্তি বাশার ভাইয়ের কাছে আমাকে জামাতের কর্মী বলে উপস্থাপন করে কী সুবিধা অর্জন করতে চেয়েছে সেটি আমার বোধগম্য নয়। অবশ্য এই লোকটিকে কিশোরগঞ্জের কেউ-ই সম্মানের চোখে দেখে বলে আমার জানা নেই। ‘যে পাতে খায় সে পাতে থুতু ফেলে’ বলে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে। এই লোকটির আচরণ দেখে সেই প্রবাদের কথাই মনে পড়ে। গত ক’বছর যাবত তাকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলছি। তার সাথে কথা বলতেও এখন আমার রুচিতে বাধে।
কবি আশরাফুল মোসাদ্দেক আমার খুবই প্রিয় মানুষ, প্রিয় কবি। তার কথামতো ওইদিন সন্ধ্যায়ই আমি ছড়াকার সিরাজুল ফরিদকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম বাংলাবাজার। গতিধারার অফিসকক্ষ কাম শো-রুমে বাশার ভাই তখন কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত। এর আগে তাকে কোনোদিন দেখিনি। পরিচয় দিতেই তিনি খুব উৎফুল্ল চিত্তে আমাদের গ্রহণ করলেন। কম্পিউটার থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে মনোযোগ দিলেন নির্ভেজাল আলাপচারিতায়। প্রথম পরিচয়েই তাকে অত্যন্ত বন্ধুবৎসল এবং আন্তরিক মানুষ বলে মনে হলো। তার উষ্ণ আথিতেয়তায় মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। কথাবার্তায় খুবই চটপটে এবং উদ্ধত। অপ্রিয় সত্যকথা মুখ বরাবর বলে দিতে তার বাধে না। এ-রকম স্পষ্টভাষী মানুষ খুব একটা দেখা যায় না। প্রকাশনা-শিল্পের নানা বৈশাদৃশ্য এবং বইমেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়ে কর্তৃপক্ষের দু’নম্বরি প্রসঙ্গেও তিনি খুব উষ্মা প্রকাশ করলেন।
তার শো-রুমে দেশের নামি-দামি লেখকদের অনেক বই। সবগুলোই তার প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে। তিনি নিজেও একজন লেখক। তার এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং স্বনামখ্যাত সিকদারবাড়ির ক্রমবিবর্তনের ইতিহাসধর্মী বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বই তিনি রচনা করেছেন। সৃষ্টিশীল ও মৌলিক কর্ম বলতে যা বোঝায় তা খুব যত্নের সাথেই করে চলেছেন সিকদার আবুল বাশার। প্রায় ৪ ঘণ্টার আলাপচারিতায় আমার মুগ্ধতা শুধু বাড়তেই থাকে। এ-রকম একজন মৌলিক লেখক প্রকাশনা-শিল্পে এগিয়ে এসেছেন দেখে অসাধারণ ভালোলাগায় আমি আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। কয়েক দফা চা-বিস্কিট-সিগারেট আর বিরতিহীন আলাপচারিতার পর ‘মুক্তিযুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার ইতিহাস’ গ্রন্থ নিয়ে তিনিই কথার সূত্রপাত করেন। আমার সাথে পুরো পাণ্ডুলিপির সিডি আগে থেকেই করা ছিল। সেটি বের করে তার হাতে দিলাম। তিনি সিডি ওপেন করলেন। বইয়ের ধারাক্রম এবং গোছানো বর্ণনা দেখে খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বললেন, এ-রকমটিই আমি চেয়েছিলাম।
কথা প্রসঙ্গে আমি সেই কথিত লেখকের পাণ্ডুলিপিটি একনজর দেখতে চাই। তিনি কম্পিউটারে সেভ করা পাণ্ডুলিপিটি দেখালেন। দেখে তো আমার আক্কেলগুড়–ম! একি! এ-যে আমার লেখা ‘রক্তে ভেজা কিশোরগঞ্জ’ বইয়ের হুবহু নকল! একটি শব্দ এমনকি বাক্যেরও কোনো হেরফের নেই। বইয়ে আমি যে সকল ছবি ব্যবহার করেছি তা-ও অবিকল এ পাণ্ডুলিপিতে রয়েছে। আমি বললাম, দেখুন আত্মাসত আর কাকে বলে! আমার ‘রক্তে ভেজা কিশোরগঞ্জ’ বইটি মুক্তিযুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলায় যারা শহিদ হয়েছেন শুধু তাদের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা-নির্ভর একটি প্রামাণ্য বই। এটি মুক্তিযুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার সামগ্রিক চিত্র নয়। অথচ ওই মূর্খ আমার বই হুবহু নিজের নামে কম্পোজ করে কিশোরগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রখর মেধাসম্পন্ন লেখক ও প্রকাশক সিকদার আবুল বাশারকে সে পটাতে পারেনি। পটে যাওয়ার মতো মানুষও নন সিকদার আবুল বাশার।
বাশার ভাই বললেন, প্রথমবার লোকটাকে দেখে ভেবেছিলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখলে সেটি যথেষ্ট তথ্যনির্ভর হবে। কিন্তু পাণ্ডুলিপি পাওয়ার পর তার সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে যায়। প্রথমে লোকটা আপনার সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা বলেছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার আমার সাথে দেখা করতে এসে স্পিকার আব্দুল হামিদ সম্পর্কে সে যখন বাজে মন্তব্য করতে শুরু করল তখন আমার বুঝতে বাকি থাকে না যে এই লোক নিজেই একজন বাজে মানুষ। যে ব্যক্তি অপ্রয়োজনে অন্যের নিন্দা করে, সে-যে নিজেই একজন নিম্নরুচির মানুষ তা বুঝতে বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
বাশার ভাই আমার পাণ্ডুলিপিটি আদ্যোপান্ত দেখে এবারের বইমেলাতেই এটি প্রকাশ করবেন বলে জানিয়ে দিলেন। আলাপে আলাপে রাত প্রায় ন’টা পেরিয়ে গেছে। এবারে বিদায়ের পালা। আবারও তিনি চা-বিস্কুটে আপ্যায়ন করে উৎফুল্ল ভঙ্গিমায় আমাদের বিদায় জানালেন। বেরিয়ে আসার পথে ছড়াকার সিরাজুল ফরিদের সাথে বাশার ভাইয়ের আন্তরিকতা নিয়ে অনেকক্ষণ কথা হলো। সিরাজ ভাই বললেন, সিকদার আবুল বাশার ধানাই-পানাই পছন্দ করেন না। যা বলেন সোজাসাপ্টা বলেন। আমারও তা-ই মনে হলো। অত্যন্ত প্রাণোচ্ছল একজন মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরে খুবই ভালো লাগছিল। ফেরার পথে কেবলই মনে হতে থাকে এই লোকটিকেই বোধহয় আমি এতদিন খুঁজে বেরিয়েছি। অবচেতনভাবেই যেন আমার অন্তরে গাঁথা ছিল সিকদার আবুল বাশারের অবয়ব। হৃদয়ের গভীরে কবিগুরুর সেই চিরায়ত গানটি যেন সন্তর্পণে বেজে ওঠে, ‘আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে তোমায় পাইনি’ ...
লেখক : গবেষক, কবি ও ছড়াকার, সম্পাদক