আলোয় উদ্ভাসিত চিরতারুণ্যের প্রতীক

আলোয় উদ্ভাসিত চিরতারুণ্যের প্রতীক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৬, ১২:১৭:২৬
আলোয় উদ্ভাসিত চিরতারুণ্যের প্রতীক
ড. বিদ্যুত বড়ুয়া
প্রিন্ট অ-অ+
১৯৫৪ সালে  যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে  প্রচারণার জন্য শেরেবাংলা এক ফজলুল হক, শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দী, মাওলনা ভাসানীর সাথে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রাম আসলে এম এ গনির সর্বপ্রথম পরিচয় ঘটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে।  
 
সেই থেকে আজ পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের  আদর্শকে ধারণ করে জাতির জনকের দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নির্দেশ পালনে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও আনুগত্য বর্তমান প্রজন্মের বঙ্গবন্ধু সৈনিকদের অবশ্যই অনুকরণীয়। আজ তার জন্মদিন। 
 
১৯৬৩ সালে সেই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সর্ব প্রথম কমিটির সভাপতি মরহুম জানে আলম দোভাষ - সাধারণ সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরীর সাথে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া কমিটিতে, এর চেয়ে প্রাপ্তি কি আছে আপনার জীবনে।  ১৯৬৫ সালে  বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে  স্বতন্ত্র  নির্বাচন করে মুসলিম  লীগের শক্তিশালী প্রাথীকে হারিয়ে দিয়ে অল্প বয়সে এম এ গনি বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত প্রিয় ভাজন হয়েছিলেন।  এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি চট্টগ্রাম মিউনিসিপালটি কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৫ সালে নিখিল পাকিস্থান যুব আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব  অর্জন করেছিলেন ।  
 
এমএ গনি খুব অল্পবয়সে চট্টগ্রাম এর সেই সময়ের ১০০ বছরের পুরাতন  চট্টগ্রাম কো-অপারেটিভ  ব্যাংক এর পরিচালক হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে তত্কালীন স্বৈরশাসক আয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পুলিশের হাতে বেধড়ক   লাঠিপেঠার পর গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই সময় পুলিশের লাঠিপেটা থেকে বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাজেদা চৌধুরী না বাচালে হয়তো আজ্ আমাদের চির তারুণ্যের  প্রতীক   সর্ব   ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ গনিকে  পেতাম না।  পরবর্তিতে চিকিৎসার জন্য ১৯৬৯ সালে লন্ডন আসলে  সুস্থ্  হওয়ার পর লন্ডনের  ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বিজনেস স্কুল   থেকে ব্যবসা প্রশাসনে উচ্চতর ডিগ্রী শেষ করেন। 
 
পারিবারিক সূত্রে জমিদার পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে উন্নত চিকিত্সার জন্য লন্ডন আসার মত  সামর্থ্য হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে  বঙ্গবন্ধু আগরতলা মামলা থেকে মুক্ত হওয়ার পর রাজনৈতিক সফরের কারণে লন্ডন আসলে, সফরসঙ্গী হিসাবে  আমাদের আজকের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওয়াজেদ মিয়া  সাথে ছিলেন। 
 
১৯৭২ সালে ডিসেম্বর এর দিকে এমএ গনি বাংলাদেশে গেলে তাকে  যে সংবর্ধনা  দিয়েছিল, সেই সংবর্ধনায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ  সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
 
১৯৭৫ সালে খুনি  ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে  হত্যার  পর লন্ডনে আগস্ট মাসে যে সভা হয়েছিল সেই সভায় এমএ গনি  উপস্থিত হয়ে  বার বার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ  রেহানা এর নিরাপত্তার কথাই চিন্তা করেছিলেন সবার আগে। 
 
 ১ / ১১ এর সময় ইউরোপের ও  লন্ডনের অনেক নেতা যখন বিভিন্ন দেশে  দায়িত্বহীনতার  পরিচয় দিয়ে  ঘুরে  বেড়াচ্ছেন তখন  শেখ রেহানার নির্দেশে  এমএ গনি  ইউরোপ এ আওয়ামী লীগের সকল নেতাদের সহস্তে চিঠি ড্রাফ করে দিয়ে প্রতিটি সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক ডেস্কে প্রদান করে বাংলাদেশের গনতন্ত্রে শেখ  হাসিনার অনিবার্যতার কথা তুলে ধরেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করেন। লন্ডনের টিভি চ্যানেলসমূহে  টক শো তে গিয়ে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে হবে -এর কোন বিকল্প  নেই  এই কথা বলেছেন বার বার।  
 
এম এ গনি শুধু ব্যক্তির  নাম  নয়, ইউরোপ জুড়ে আওয়ামী লীগের একটি ইতিহাস। আজকের জন্মদিনে আপনার সুসাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। 
 
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com