আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মী নই। রাস্তার রাজনীতিতে কোনোদিন কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে আমার l দাঁড়ানোর সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনোটাই হয়নি। তথাপি কেউ কেউ আমাকে লীগের ট্যাগ লাগিয়ে দিতে ভালোবাসেন।
কেন? কারণ আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখালিখি করি। আমি জোরালোভাবে সমর্থন করি যে, এই দেশের সরকারের পক্ষের-বিপক্ষের যত দলই থাকুক না কেন, তাদের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকই হতে হবে।
তবে, আওয়ামী লীগের প্রতি আমার আলাদা ভালোবাসা আছে। না থেকে উপায় নেই। বঙ্গবন্ধুর দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তিনি এই জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন; তিনি এই দেশের নাম বাংলাদেশ রেখেছিলেন; তার নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল, ওই সময়ে তার দলের নেতাকর্মীদের অ্যাক্টিভ পার্টিসিপেশনের কোনো তুলনা আজো এই দেশে হতে পারে নেই।
এই কারণেই আমাদের এই দলের থেকে প্রত্যাশা সবচাইতে বেশি। তৃণমূল পর্যায় থেকে যে কর্মীরা নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে দলের জন্য কাজ করে যায়, তাদেরকে সাইডে সরিয়ে রেখে অথবা তাদের ওপর অবিচার-অত্যাচার করে যখন বিজাতীয় দল থেকে নামকরা সন্ত্রাসীরা অথবা 'দুধের মাছিরা' এসে সামনের আসন আলোকিত করে এবং কিছু অর্থলোভী ইতর সেটাকে ফেসিলিটেট করেন তখন আসলে খুব হোপলেস লাগে।
একজন মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র পুত্র সন্তান দিপু খন্দকার, কাউখালী উপজেলা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। একজন নাম করা বেডমিন্টন প্লেয়ারও। গুন্ডাদের হাতে বঙ্গবন্ধুর ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের প্রতিবাদ করায় তার এক হাত কেটে দেয়া হয়েছে। আপাতত তার পাশে দাঁড়ানোর মত কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিবার্তা/কাফী