১ মে ২০১৬। বেগম খালেদা জিয়া জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য, বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, (যিনি প্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুর সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্যা ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক এবং পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেছেন) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে, তাঁর আমেরিকার একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা থাকার অভিযোগ করেন।
তিনি এই টাকার উৎস জানতে চান। ভিত্তিহীন ও বানোয়াট এই অভিযোগের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন ‘ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।’
জয় ভাই তাঁর প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, ‘আপনার (খালেদা) পোষা ভৃত্য মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান এফবিআই’র গোপন নথি চুরি করে আমার সব ব্যাংক হিসাবের তালিকা পেয়েছে, কিন্তু সেই টাকা খুঁজে পায়নি। ১/১১ এর সামরিক শাসকেরা যারা আমার মাকে আটক করেছিল, তারাও সেটি খুঁজে পায়নি। এমনকি এফবিআই সেটি পায়নি। এটা এজন্য যে, আমি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিও কোনো সম্পদ কোনোদিন অর্জন করিনি। আমি তত ধনী নই।’
ইতিমধ্যেই ৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। বেগম জিয়া এখনো জয় ভাইয়ের চ্যালেঞ্জটি নিতে পারেননি। তিনি পারবেনও না। কারণ, যার বড় ছেলের মুদ্রা পাচার মামলায় এফবিআই কর্মকর্তারা বাংলাদেশে সাক্ষ্য দিতে আসতে হয় ও ছোট ছেলের (প্রয়াত: তার আত্নার শান্তি কামনা করছি) নামে মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতির দরুণ বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের হ্যান্ডবুকে লিপিবদ্ধ হতে হয়, এমনকি যিনি নিজের প্রয়াত স্বামীর নামে এতিমদের জন্য প্রতিষ্ঠিত জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ মামলায় জড়িত থাকার মতো অপরাধে বিচারাধীন রয়েছেন; তিনি আর যাই হোক, জয় ভাইয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো সৎ সাহস রাখেন না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই ভোগবাদে বিশ্বাস করে না। তিনি তার পরিবারকেও সে শিক্ষায় দীক্ষিত করেননি। তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজ গুণে সবাই প্রতিষ্ঠিত। তারা কেউই অর্ধ-শিক্ষিত বা স্ব-শিক্ষিত নন এবং তাদের কেউই বিলাসী জীবন-যাপনে অভ্যস্ত নন।
আর আমরা মিথ্যা অভিযোগে নয়, তথ্যপ্রমাণ নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে। চরিত্র হননে আপনারাই সারা জীবন ব্যস্ত থেকেছেন, আগামীতেও যে থাকবেন, তা অন্য সকল বাঙ্গালির মতো আমিও জানি। পরের চরিত্র হনন করতে গিয়ে বারবার আপনার চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ২০০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি ফেরত দিয়েছেন হাসিমুখে ও অবলীলায়, আর অবৈধ বাসিন্দা হয়েও অবৈধ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় জাতি আপনার ঘৃণামাখা লোভাতুর চোখে জল দেখেছে।
আজ সময় এসেছে আপনাকে প্রশ্ন করার: তারেক জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে লন্ডনের মতো ব্যয়বহুল শহরে কিভাবে বিলাসী জীবন যাপন করছেন, সেই অর্থের উৎস কি? অন্য সাধারণ দশজনের মতো আমি সে অর্থের বৈধ উৎস সম্পর্কে জানতে চাই। উত্তর আছে কি?
আমার প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতে পারবেন না, তা আমি জানি। কিন্তু আপনার কাছে আমার অনুরোধ, জয় ভাইয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আপনার অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ দিন।
সকল মিথ্যা নিশ্চয় পরাজিত হবে, সত্যের জয় অনিবার্য। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
বিবার্তা/নিশি/জিয়া