বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। দেশে বর্তমানে ৯২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে দেশের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৬০% অধ্যায়নরত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ইউজিসির নিয়মাবলিতে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বৈধ নয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্র সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবিরের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে খর্ব হলেও প্রতিবাদের কোনো সুযোগ নেই।
দেশকে যারা আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মতো ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, যারা দেশের সুনাম খর্ব করতে চায়, তাদের বড় টার্গেট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রজন্ম। যা দেশের জন্য এক অশনি সংকেত।
একমাত্র ছাত্রলীগই আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের অধিকার আদায় করেছে। তাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্তহীন রাজনীতি এখন সময়ের দাবি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে একমাত্র ছাত্র সংগঠন হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের দাবি আদায় করে নিয়েছে।
এছাড়া ক্লিন ক্যাম্পাস, সেভ ক্যাম্পাস, সমুদ্র পরিষ্কার অভিযান, ইজতেমায় অংগ্রহণকারীদের শরবত বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নেয়।
কিন্তু তারপরেও বিএনপি-জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইউনিভার্সিটি প্রশাসন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কিছু শিক্ষার্থীর রোষানলে পড়তে হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এমনকি জয় বাংলা স্লোগান দেয়ার অপরাধে অনেকের ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে।
একটি কথা স্পষ্ট করে বলা দরকার। সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ তাদের সভাপতি তানভির রহমান জয় ও সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. রেফাতের নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কারো রক্তচক্ষুকে কখনো ভয় পায়নি।
আশা করি খুব শিগগিরই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রাজনীতি বৈধ ঘোষণা করে ক্যাম্পাসগুলোকে জঙ্গিবাদ জামায়াত-শিবিরের আস্তানা থেকে মুক্ত করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের দৃষ্ট আকর্ষণ করছি।
গুটিকয়েক সমাজবিচ্ছিন্ন জঙ্গি শিক্ষার্থীর দায়ভার সাধারণ শিক্ষার্থীরা নেবে না।
লেখক: অরিন তানবীন
সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ
বিবার্তা/ইফতি/কাফী